ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েলিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাবার নির্দেশ, সবচেয়ে বড় হামলার জন্য প্রস্তুত ইরান!

প্রকাশিত: ১৩:২০, ১৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৩:২১, ১৭ জুন ২০২৫

ইসরায়েলিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাবার নির্দেশ, সবচেয়ে বড় হামলার জন্য প্রস্তুত ইরান!

ছ‌বি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ নতুন মোড়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ইরান জানিয়েছে, তারা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর জবাবে ইসরায়েলও দিয়েছে পাল্টা হুঁশিয়ারি। পুরো বিশ্বের চোখ এখন এই সংঘাতে, যেখানে যুদ্ধবিরতির আশা জাগিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রশ্ন উঠছে— ট্রাম্প কি থামাতে পারবেন এই ভয়াবহ সংঘর্ষ? নাকি আরও ভয়ংকর রূপ নেবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ?

তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবারকার প্রতিশোধ হবে ‘সবচেয়ে তীব্র’ এবং ‘স্মরণীয়’। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ঘোষণায় জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে যতগুলো হামলা হয়েছে, তার চেয়েও ভয়ঙ্কর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তারা স্পষ্ট করে বলেছে— পূর্ববর্তী প্রতিক্রিয়াগুলো ছিল শুধু “উষ্ণতা মাপার সূচক”, আসল প্রতিশোধ এখন আসতে যাচ্ছে।

এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় ১৩ জুন, যখন ইসরায়েল চালায় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের একটি বড় সামরিক অভিযান। এই অভিযানে ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়। এতে কেঁপে ওঠে তেহরানের একাধিক অঞ্চল। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার হোসেন সালামী, সামরিক প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরী এবং কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরান সরকারের মতে, এই হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২২৪ জন এবং আহত হয়েছে কয়েক হাজার।

জবাবে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তেল আবিবের বাসিন্দাদের এখনই শহর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। তারা বলেছে, এবারকার হামলায় ব্যবহৃত হবে ইরানের সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যেমন— সেজ্জিল ও গাধার-এইচ। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর সক্ষমতা একটি গোটা শহর ধ্বংস করার মতো।

ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড ইতোমধ্যে উত্তর ও মধ্য ইসরায়েলের বাসিন্দাদের বোমা শেল্টারের কাছে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, উভয় পক্ষই বড় ধরনের সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ইরানিদের সতর্ক করে বলেছেন, দ্রুত তেহরান খালি না করলে ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এখন সবার নজর ট্রাম্পের দিকে— তিনি কি যুদ্ধ থামাতে পারবেন, নাকি আরও উসকে দেবেন এই সংঘাত?

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/FmFqZeb2YOw?si=d9u-49TEY4qW20wN

এম.কে.

×