
ছবি: সংগৃহীত
ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, অঞ্চলটিতে এরই মধ্যে বড় আকারের নৌবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আরও ইউনিট মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে আরব সাগরে অবস্থান করছে দুটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপ। এদের মধ্যে ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’ দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, ‘ইউএসএস নিমিটজ’ নামের আরেকটি বিমানবাহী রণতরী দক্ষিণ চীন সাগর থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে এই অঞ্চলে। মূলত কার্ল ভিনসনের দায়িত্ব গ্রহণের কথা থাকলেও এখন দুটিকেই আরব সাগরে রাখা হচ্ছে।
পেন্টাগনের এক সূত্র জানায়, ‘ইউএসএস নিমিটজ’ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কৌশলগত দিক থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
এছাড়াও, আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও গুলি করে ভূপাতিত করার সক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি বিধ্বংসী ডেস্ট্রয়ার জাহাজও মোতায়েন করা হয়েছে। এসব জাহাজ সরাসরি আকাশ প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহৃত হবে।
পাশাপাশি, ইউরোপজুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে দুই ডজন রিফুয়েলিং ট্যাংকার বা জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান। এগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানগুলো দীর্ঘক্ষণ আকাশে থেকে অভিযান চালাতে পারবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল বিরোধ আরও তীব্র হলে এই সামরিক প্রস্তুতি পশ্চিমা জোটের প্রতিক্রিয়ায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সূত্র: আল জাজিরা।
রাকিব