
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে শিশুর সুস্থ ও সবল বেড়ে ওঠার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, শিশুর খাবারে সঠিক পুষ্টি উপাদানের সংযোজনই পারে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর ইমিউনিটি বাড়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন সি, বি, ডি এবং জিংক। এসব উপাদানযুক্ত খাবার বা সাপ্লিমেন্ট শিশুদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন।
পুষ্টিবিদরা জানান, ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল যেমন মাল্টা, কমলা, আমলকী, লেবু ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়ালে শিশুর ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়। একইভাবে সবুজ শাকসবজি ও উচ্চ মানের প্রোটিন যেমন ডিম শিশুদের জন্য খুব উপকারী।
ডিমকে বলা হয় ‘সুপার ফুড’। এটি শুধু প্রোটিন নয়, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডেরও চমৎকার উৎস, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছেও রয়েছে প্রচুর ওমেগা থ্রি।
তবে অনেক শিশু এসব খাবার খেতে না চাইলে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে অলিভ অয়েল। এদের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি এসিড যা শিশুর শরীরের জন্য উপকারী।
এছাড়া রোদে ১০-১৫ মিনিট শিশুকে রাখলে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি উৎপাদন হয়, যা হাড়ের গঠন এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
ফর্মুলা দুধেও বর্তমানে ভিটামিন ডি, আয়রন ও ওমেগা থ্রি ফর্টিফায়েড করে দেয়া হয়, যা শিশুর সামগ্রিক বিকাশে সহায়ক।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুর ইমিউনিটি বাড়াতে প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি কিছু সুনির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সচেতন থাকলে শিশুরা সংক্রমণ, ঠান্ডা-জ্বরসহ নানা অসুখ থেকে সহজেই রক্ষা পাবে।
নোভা