ছবি: সংগৃহীত
১৩ জুন সকালে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়, এতে পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিহত হন। তেহরান অভিযোগ করে, সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই হামলা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা শুরুর আগে ঘটে, যেখানে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
সন্ধ্যায় ইরান ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ‘আইরন ডোম’ পেরিয়ে তেল আবিবের কেন্দ্রীয় এলাকায় আঘাত হানে। সংঘাত পাঁচ দিন ধরে চললেও থামার কোনো লক্ষণ নেই। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হবে কেবল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির মৃত্যুর মাধ্যমে।
১৯৪৮ সালে অধিকাংশ মুসলিম দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দিলেও শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান ও তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। তখন ইরান পশ্চিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখত এবং ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা ছিল।
কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান-ইসরায়েলের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ইরান ইসরায়েলকে ‘শত্রু’ ঘোষণা করে এবং হিজবোল্লাহ, হামাস, হুথি গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়া শুরু করে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ও আক্রমণাবলীর অব্যাহত ধারা চলে।
গত বছর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংস করে। সম্প্রতি পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পর ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাঙার হুমকি দিয়েছে। এই যুদ্ধ দুশমনের বন্ধুত্ব থেকে শত্রুতার ইতিহাস এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল।
সূত্র: এনডিটিভি
আবির
