
ছবি: সংগৃহীত
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তপ্ত যুদ্ধাবস্থার মাঝেই গাজায় নতুন করে সক্রিয় হয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন। ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে এবার যৌথ অভিযান শুরু করেছে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেড এবং ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র অংশ আল কুদস ব্রিগেড।
গাজায় ধারাবাহিক প্রতিরোধ
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসের আল-কাবিরা আবাসন এলাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে এন্টিপার্সোনাল বিস্ফোরক ব্যবহার করে আক্রমণ চালায় আল কাসাম ব্রিগেড। এতে বেশ কয়েকজন সেনা নিহত ও আহত হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
স্নাইপার হামলা ও ট্যাংক ধ্বংস
উক্ত এলাকাতেই হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ঘাউল’ নামের একটি স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে একজন ইসরাইলি সেনাকে গুলি করে আহত করা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় আল কাসাম ব্রিগেডের হামলায় একটি ইসরাইলি সাঁজোয়া যান ও একটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস হয়। পরদিন একই এলাকায় আরও একটি ট্যাংক উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির।
আল কুদস ব্রিগেডের মর্টার শেল হামলা
ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজার উত্তরে অবস্থানরত ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটির উপর ৬০ মিলিমিটারের মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ঘাঁটির ভেতর সেনা ও সরঞ্জামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়।
মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানি
আল সুজাইয়া এলাকায় সরাসরি সংঘর্ষেও ইসরাইলি সেনাদের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে খান ইউনিসে একটি ভবনের নিচে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে ইসরাইলি এলিট ইউনিটের ১২ সদস্য আহত হয়েছে বলে গাজার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ঘটনাটি ইসরাইলি বাহিনীর কৌশলগত দুর্বলতারই ইঙ্গিত দেয়।
হামাসের কটাক্ষ নেতানিয়াহুকে
এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ ঘোষণা কেবলই রাজনৈতিক বিভ্রান্তি। তারা বলছে, যুদ্ধ যতই দীর্ঘায়িত হোক, বাস্তবিক অর্থে নেতানিয়াহুর জন্য এটি একটি রাজনৈতিক বোঝায় পরিণত হচ্ছে।
ইরান-ইসরাইল সংঘাত যখন নতুন মোড় নিচ্ছে, তখন গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর এমন সক্রিয়তা যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। ইসরাইলের জন্য এটি এখন শুধু আঞ্চলিক নয়, বরং বহু-মাত্রিক যুদ্ধের রূপ নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আঁখি