
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইউক্যালিপটাস গাছ ব্যাপকভাবে রোপণ করা হলেও, পরিবেশবিদ ও কৃষি গবেষকরা এর বিরূপ প্রভাব নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। অবশেষে, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় কিছু এলাকায় ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ ও চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ইউক্যালিপটাস গাছ অতিরিক্ত পরিমাণে পানি শোষণ করে যা মাটির নিচের পানির স্তরকে দ্রুত নিচে নামিয়ে দেয়। ফলে শুষ্ক ও পানির ঘাটতি থাকা এলাকাগুলিতে কৃষির জন্য মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া এই গাছ তার চারপাশের অন্যান্য উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং জীববৈচিত্র্য হ্রাস করে। পাখি, মৌমাছি, প্রজাপতির মতো প্রয়োজনীয় জীবেরা এই গাছে বাস করতে পারে না, যা পরিবেশের ভারসাম্যকে আরও হুমকির মুখে ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্যালিপটাসের পাতা ও ছালে থাকা তেল অতি দাহ্য হওয়ায় বনাঞ্চলে এটি দ্রুত আগুন ছড়ানোর আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, ইউক্যালিপটাসের পরিবর্তে দেশীয় জাতের গাছ যেমন- নিম, কাঁঠাল, আম, জারুল, আকাশমনি ইত্যাদি গাছ রোপণই পরিবেশের জন্য উপকারী হবে।
আঁখি