ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চলন্ত বাসে ডাকাতি ॥ মামলা নিতে রাজি না দুই থানার কেউ

প্রকাশিত: ১১:৪২, ১৬ জানুয়ারি ২০২২

চলন্ত বাসে ডাকাতি ॥ মামলা নিতে রাজি না দুই থানার কেউ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার ॥ ভোর পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দুই থানায় মামলা দায়ের করার জন্য ঘুরছি। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে আমাদেরকে বলা হয় সাভার মডেল থানায় যেতে। আবার সাভারে আসালে বলা হচ্ছে মির্জাপুরে যেতে। দুই থানার কেউ মামলা নিতে রাজি হচ্ছে না। সারাদিন ঘুরে আমরা এখন দিশেহারা। বলছিলেন শনিবার রাত এগারোটার দিকে সাভার মডেল থানা প্রাঙ্গনে সোনার তরী পরিবহন নামে এক বাসের চালক মোঃ পাভেল। তিনি বলেন, গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটারদিকে বগুড়া ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। বাসে আসন ফাঁকা থাকায় রাত দশটারদিকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা এলাকায় আসার পর সাত জন যাত্রী উঠায়। পরে রাত এগারোটার দিকে সাভারের গেন্ডা এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা আমারসহ বাসের সুপারভাইজার শহীদুল আলম শহীদ ও হেলপার শাহীন আলমের হাত, পা ও মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করতে থাকে। এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা যাত্রীদের মালামাল লুট করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সামনে বাস রেখে পালিয়ে যায়। তারপর সকালে টাঙ্গাইল মির্জাপুর থানায় গেলে সেখান থেকে আমাদেরকে বলা হয় সাভার মডেল থানায় মামলা করার জন্য। আবার সাভার মডেল থানায় আসলে আমাদেরকে বলা হচ্ছে মামলা করতে হবে মির্জাপুর থানায়। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ওরা আমাদের কাছে আসছিল। যেহেতু ঘটনার শুরু সাভারে সেকারণে মামলা সেখানেই হবে। অন্যদিকে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মোমেনুল ইসলাম বলেন, বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সামনে থেকে সেহেতু মামলা সেখানেই হবে।
×