ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় খেয়া পারাপারে থামছে না চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ২০:৫২, ৪ মে ২০২১

কলাপাড়ায় খেয়া পারাপারে থামছে না চাঁদাবাজি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ৩ মে ॥ খেয়াঘাটের চাঁদাবাজি কোন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। ইজারাদার আসে, ইজারাদার যায়। কিন্তু বন্ধ হয় না চাঁদাবাজি। খোদ সরকার নিয়ন্ত্রিত কালেকশনের বালিয়াতলী খেয়াঘাটের চাঁদাবাজি এখনও বন্ধ হয়নি। মানুষের চার টাকার ভাড়ায় ১০ টাকা, ১০ টাকার মোটরসাইকেল ভাড়ায় ৩০-৪০ টাকা আদায়, আরও কত কী। যেন মগের মুল্লুকেই রয়ে গেছে। টোলরেট লেখা পন্টুনের পাশেই চাঁদাবাজদের আস্তানা। একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক তার ফেসবুক আইডিতে দুদিন আগে বালিয়াতলী খেয়াঘাটের চাঁদাবাজি এবং চাঁদাবাজদের নামসহ একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি রবিবার ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, গড়ে প্রতিদিন যদি ২০০ মোটরসাইকেল পারাপার হয় এই পথে। তাতে অতিরিক্ত হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন চার হাজার টাকা। মাসে এক লাখ কুড়ি হাজার, বছরে ১৪ লক্ষাধিক টাকা শুধু মোটরসাইকেল ভাড়া অতিরিক্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। এখন ব্রিজ চালু হবে, তাই এ বছর চাঁদাবাজরা ইজারায় অংশ নেয় নামে মাত্র টাকায়। যার ফলে সরকারী নিয়ন্ত্রণে কালেকশন। উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রিত কালেকশন! কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। তবে কে বন্ধ করবে! যেন শর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সবাই বলছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শুধু বালিয়াতলী খেয়াঘাটে নয়, সব কটি খেয়াঘাটেই এখন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যেমন তেগাছিয়া-নীলগঞ্জ খেয়াঘাট। তৃণমূলের মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে দরকার প্রশাসনিক এবং জনপ্রতিনিধিদের যৌথ পরিকল্পনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। কলাপাড়ায় বর্তমানে সেটি অনুপস্থিত বলে মনে করছেন অধিকাংশ ভুক্তভোগী। কলাপাড়ার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ২০টি মাত্র খেয়াঘাট তা নিয়ন্ত্রণে এত গাফিলতি কেন। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে নেই কোন প্রশাসনিক কার্যকর ব্যবস্থা। আর বালিয়াতলীতে এখন কাগজে-কলমে কোন ইজারাদার নেই। তারপরও চাঁদাবাজি ঠিকই চলছে।
×