সাতক্ষীরায় ছাত্রকে বলাৎকার করে ভিডিও, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরার এক মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার করে ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার রাতে কালিগঞ্জের বাজারগ্রামের কফিল উদ্দীন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। হাফেজ আনোয়ারুল ইসলাম (৩৩) কালিকাপুর মোড়লপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মোড়লের ছেলে ও কালিগঞ্জ কফিল উদ্দীন হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক। পুলিশ জানায়, চারদিন পূর্বে মাদ্রাসা শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম তারই মাদ্রাসার ১৬ বছরের এক শিশুর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করে তার নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে উক্ত বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে তার মাদ্রাসার শয়ন কক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি আকাশি রঙের রেডমি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ও দুটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। ওই মোববাইল ফোনে এই শিশুসহ আরও কয়েকজন শিশুর সঙ্গে তার বিকৃত যৌনাচারের ধারণকৃত নগ্ন স্থিরচিত্র পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক ওই মাদ্রাসা শিক্ষক বহুদিন ধরে বহু ছাত্রকে এভাবে বলাৎকার করে ওই বলাৎকারের দৃশ্য তিনি মোবাইলে ধারণ করে ওই সব শিশু ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আবারও বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে । কিশোরীকে আটকে ধর্ষণ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, নকল বিয়ের অনুষ্ঠান করে একটি ভাড়া ঘরে আটকে বাবা-মা হারা এক কিশোরীকে (১৫) টানা এক মাস ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার হোতা মোঃ সজিবের দুই সহযোগী মেহেদী হাসান শাকিল (২৬) এবং মোঃ রিয়াজকে (৩০) গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সজীব পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী কলাপাড়া থানায় তিনজনকে আসামি করে ৫ এপ্রিল বিকেলে একটি মামলা করে। পুলিশ ওই সন্ধ্যায় ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে কিশোরীর।