ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নববর্ষের প্রতীকী উদ্যাপন এবার

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ৮ এপ্রিল ২০২১

নববর্ষের প্রতীকী উদ্যাপন এবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ (১৪২৮) আয়োজনে কোন অবস্থাতেই জনসমাগম করা যাবে না। এবার ভার্চুয়ালি নববর্ষ উদ্যাপন করতে হবে। বুধবার এমন নির্দেশনার চিঠি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা ১৪২৮ সনের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে গত বছরও নববর্ষ উদ্যাপন করা যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আ স ম হাসান আল আমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। গত বছরের ন্যায় এবারও বাতিল হচ্ছে। এতে বলা হয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উদ্যাপন সংক্রান্ত গৃহীত কর্মসূচীর বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান পরিহার করা, সম্ভব হলে অনলাইন বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানানো হলো। কোন অবস্থাতেই জনসমাগম করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখ ঢাকার শাহবাগ-রমনা এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এ শোভাযাত্রায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের ও বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঢাকা শহরে এটি প্রবর্তিত হয়। কিন্তু করোনার বিস্তার ঠেকাতে গতবছরও (১৪২৭ বঙ্গাব্দ) মঙ্গল শোভাযাত্রার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। গতবার করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে একটা পোস্টার অবমুক্ত করা হয়। সেখানে লেখা ছিল ‘মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়। স্বাধীনতার পর দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ থাকছে নববর্ষের সব উদ্যাপন। থাকবে না রমনার বটমূলে ছায়ানটের গান, চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা।
×