ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জনবল সঙ্কটে ধুঁকছে পাহাড়তলীর রেলের ডিজেল ওয়ার্কশপ

প্রকাশিত: ২১:৪১, ২৪ অক্টোবর ২০২০

জনবল সঙ্কটে ধুঁকছে পাহাড়তলীর রেলের ডিজেল ওয়ার্কশপ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ লোকবল সঙ্কটে জর্জরিত চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর ডিজেল ওয়ার্কসপ। প্রায় ৫০ ভাগে নেমে এসেছে লোকোমোটিভ (ট্রেন ইঞ্জিন) মেরামত কারখানার লোকবল। তবে বার্ষিক টার্গেট সিডিউল ঠিক থাকছে শুধু কর্মরতদের অভিজ্ঞতা আর যথোপযুক্ত মেধা প্রয়োগের কারণে। থেমে নেই লোকোমোটিভসের ‘এফ’ এবং ‘জি’ সিডিউল। করোনাকালে তিন মাস বন্ধ থাকলেও ট্রেন ইঞ্জিন মেরামতের বার্ষিক টার্গেট পূরণ করেও ২৫৬টি লোকোমোটিভসের স্পেশাল রক্ষণাবেক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে লোকবল সমস্যা দূর করা হলে উৎপাদন দ্বিগুণে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গেছে, পাহাড়তলীস্থ ডিজেল ওয়ার্কশপে জনবল কাঠামো প্রায় ২০ বছর আগ থেকেই ছিল ৩১৩ জন। কিন্তু গত দশ বছরে অবসরে যেতে যেতে ক্রমান্বয়ে তা হ্রাস পেতে পেতে ২০২০-২১ অর্থবছরে কর্মরতদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৭ জনে। নিয়োগ বন্ধ থাকার কারণে উৎপাদনশীল এ প্রতিষ্ঠানটি এখন কর্ম অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাৎসরিক টার্গেট পূরণ করছে। মূলত জনবল সঙ্কট দূর করা গেলে প্রতিষ্ঠানটির বাৎসরিক ওভারহোলিং টার্গেট সিডিউল ৩৬টি থেকে দ্বিগুণে উন্নীত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কর্মরতরা। উল্লেখ্য, রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারাদেশে রেলের জনবল কাঠামো ৪০ হাজার ৭২৮ থেকে বিলুপ্ত পদ ও নবসৃষ্ট পদের মাধ্যমে উন্নীত করে তা ৪৭ হাজার ৭০৩ জনে। পাহাড়তলীস্থ ডিজেল ওয়ার্কশপ সূত্রে জানা গেছে, এ লোকোমোটিভস কারখানায় জনবল কাঠামো অনুযায়ী ৩১৩ জন কর্মরত থাকার কথা থাকলেও কাজ করছেন ১৫৭ জন। প্রতিবছর ট্রেন ইঞ্জিন মেরামতে বাৎসরিক টার্গেট ছিল ৩৬টি। বর্তমানেও তা কার্যকর রয়েছে। প্রতি দেড় বছর পর পর পূর্বাঞ্চলীয় লোকোমোটিভসগুলোর ‘এফ’ সিডিউল এবং প্রতি তিন বছর পর পর ‘জি’ সিডিউলে লোকোমোটিভস মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় এই কারখানায়। এছাড়া এ কারখানায় প্রত্যেকটি ইঞ্জিনের প্রতি ছয় বছর অন্তর অন্তর ‘জিওএইচ’ তথা জেনারেল ওভারহোলিং করতে হয়। এসব সিডিউল পরিপূর্ণভাবে রক্ষা করতে পর্যাপ্তসংখ্যক লোকোবলের প্রয়োজন। অথচ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে জনবল হ্রাস পেয়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে। চলতি অর্থবছরেও একই অবস্থা বিদ্যমান এমন পরিস্থিতিতেও কর্মরতরা বাৎসরিক টার্গেট পূরণ করছে ঠিকই। কিন্তু হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিচালক (এলএম) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জনবল কাঠামো অনুযায়ী গত দশ বছরে কমতে কমতে প্রায় ৫০ ভাগ জনবল কমে গেছে। ৩১৩ জন কর্মরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছে মাত্র কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিক মিলে মাত্র ১৫৭ জন। কিন্তু এফ সিডিউল, জি সিডিউল কোনটিই বন্ধ নেই।
×