ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পৈতৃক ভিটায় ‘প্রার্থনা কুঞ্জ’ করতে চেয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ৭ জুলাই ২০২০

পৈতৃক ভিটায় ‘প্রার্থনা কুঞ্জ’ করতে চেয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর

অনলাইন রিপোর্টার ॥ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী এন্ড্রু কিশোর তার পৈতৃক ভিটা কোটালিপাড়ায় একটি প্রার্থনা কুঞ্জ করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। সোমবার সন্ধ্যায় এই গুণী সংগীত শিল্পীর মৃত্যুর সংবাদ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অবস্থানরত তার আপনজনদের কাছে এসে পৌঁছালে তারাসহ উপজেলাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশের সুষ্টি হয়। উপজেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এই গুণী শিল্পীর এবাবে চলে যাওয়া যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা এই শিল্পীর স্মৃতি রক্ষার্থে তার নামে কোটালীপাড়ায় সংগীত একাডেমি বা স্কুল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এন্ড্রু কিশোর সস্ত্রীক কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চিথলীয়া গ্রামের পৈতৃক ভিটায় বেড়াতে এসেছিলেন। এ সময় তিনি তার পৈতৃক ভিটায় একটি ‘প্রার্থনা কুঞ্জ’ করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার কাকাতো ভাই পূর্ণদান বাড়ৈ। পূর্ণদান বাড়ৈ বলেন, এন্ড্রু কিশোর আমার কাকাতো ভাই। তার পিতার নাম ক্ষিতিশ বাড়ৈ। এন্ড্রু কিশোররা ছিলেন ৩ ভাই-বোন। ৩ ভাই-বোনের মধ্যে এন্ড্রু কিশোর ছিল ছোট। তার বড় ভাইয়ের নাম স্বপন বাড়ৈ। বোন শিখা বাড়ৈ। আমার কাকা ক্ষিতিশ বাড়ৈর কর্মস্থল ছিল রাজশাহী। তিনি ওখানে চিকিৎসা পেশায় জড়িত ছিলেন। ওখানেই এন্ড্রু কিশোরের জন্ম। তবে তার বাবার জন্ম কোটালীপাড়ায়। তিনি জানান, এন্ডু কিশোরের পিতা ক্ষিতিশ বাড়ৈ বরিশালে লেখাপড়া করেছেন। এর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী পাস করে রাজশাহীতে কর্মজীবন শুরু করেন। তবে তিনি তার পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রতিবছরই কোটালীপাড়ায় বেড়াতে আসতেন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শেখ হাসিনা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ বাড়ৈ বলেন, সংগীত শিল্পী এন্ডু কিশোরের মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই এই মহান শিল্পীর নামে কোটালীপাড়ায় একটি সংগীত একাডেমি বা একটি সংগীত স্কুল স্থাপন করা হোক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে দেশের সব সংগীত প্রেমীরাই শোকাহত। দেশের এই মহান সংগীত শিল্পীর পৈতৃক ভিটা কোটালীপাড়া। এটা সত্যিই কোটালীপাড়াবাসীর জন্য গর্বের। আমরা এই গুণী শিল্পীর স্মৃতি রক্ষার্থে কোটালীপাড়ায় একটি সংগীত একাডেমি বা সংগীত স্কুল স্থাপনের জন্য চেষ্টা করব।
×