ভেন্টিলেটর দরকার নেই
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেশ আগের ঘটনা সে সময় সারাদেশে কলেরার খুব প্রকোপ। এরমধ্যে এক ডাক্তার এসে রাতে কয়েকজনকে দেখিয়ে একজন ওয়ার্ড বয়কে বলল এরা এরা মারা গেছে, লাশগুলো যেন সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর ওয়ার্ড বয়তো পা ধরে টানে। একজন বলল ভাই আমি তো মরিনি। আমাকে টানাটানি করেন কেন? ওয়ার্ড বয় রেগে গিয়ে বল্ল, তুই কি ডাক্তারের চেয়ে বেশি বুঝিস? সত্যিই রোগীর পক্ষে ডাক্তারের চেয়ে বেশি বোঝা সম্ভব নয়। এর ওপর দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী যদি বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর দরকার নেই’ তখন আসলে বিষয়টি কি দাঁড়ায়? ডাক্তারের চেয়েই যেখানে বেশি বোঝা সম্ভব নয় সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চেয়ে বেশি বোঝার তো প্রশ্নই ওঠে না। প্রশ্ন উঠেছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হলে কি করতে হবে? হাল ছেড়ে দিতে হবে। মৃত্যু অবধারিত মনে করতে হবে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেটরে যাওয়া রোগীদের প্রায় সবাই মারা গিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের কোন প্রয়োজন নেই। দেশের ৪০০ ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩৫০টি ব্যবহারই হয়নি বলেও জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন তিনি।
মিঠু চালায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রামের এক ভাল মেয়ে মীনার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে সকলের। শিশুদের প্রিয় চরিত্র মীনার বন্ধু তার পোষা টিয়া পাখির নাম মিঠু। এই মিঠুই নাকি এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চালাচ্ছেন। প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান এমন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ডাক্তারদের খাবারের বিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি কলার দাম দুই হাজার টাকা, একটি ডিমের দাম এক হাজার টাকা। একটি ব্রেডের এক স্লাইসের দাম তিন হাজার টাকা, দুই স্লাইস ছয় হাজার টাকা। করোনাকালেও স্বাস্থ্যখাতে এ অবস্থা। জিম্বাবুইয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পিপিই ও কিট কেনায় দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনাকালে এসে আমাদের এই রুগ্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুরবস্থা। মানুষ বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকি মীনা কার্টুনে পরিণত হয়েছে। মীনা কার্টুনের টিয়া পাখি (মিঠু) দিয়ে চলছে এই মন্ত্রণালয়।
সিন্দুক থেকে বের হন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোভিড-১৯ এর মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোথায় অনেকেই এমন প্রশ্ন করেন। কখনও কখনও তাকে টকশোতে দেখা যায় বাসা থেকে সংযুক্ত হচ্ছেন। এরমধ্যে অবশ্য পত্র-পত্রিকায় খবর বের হয়েছে তিনি নাকি অফিসেও কম যান। করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটির প্রধানও তিনি। ক্রমেই দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও তার মুখে প্রায় শোনা যায় আমরা এখনও ইউরোপ আমেরিকা থেকে ভাল আছি। করোনা নিয়ে কি তাহলে আমরা প্রতিযোগিতা করছি! জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, আপনি লোহার সিন্দুক থেকে বের হন। দিনের পর দিন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিরাও খোঁজ-খবর রাখছেন, প্রয়োজনে যাচ্ছেন- বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চুন্নু বলেন, আপনি তো লোহার সিন্দুকে ঢুকে গেছেন। লোহার সিন্দুক থেকে বের হয়ে হাসপাতালে যান। ঢাকা মেডিক্যালে যান রোগীর কাছে যান। ডাক্তার, নার্স তারা রাতদিন কাজ করছেন তাদের কাছে যান। আপনি মাঝে মাঝে একটা বিবৃতি দেন এটা মানুষ গ্রহণ করছে না। দয়া করে রিস্ক নেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: