নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ ॥ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ হালগড়া গ্রামে বাড়ির সীমানার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একটি হত্যা মামলায় দুই সহোদরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে দুই লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর চার আসামিকে এক বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামীদের উপস্থিতিতে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্তরা হলেন-হালগড়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আবু হানিফ ও মানিক মিয়া। এক বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-হাফিজ উদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা খাতুন, ছেলে আবু সিদ্দিক ও আব্দুস সাত্তার এবং ছমেদ মুন্সীর ছেলে হোসেন আলী মুন্সী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার হালগড়া গ্রামের মোঃ আঃ হেলিমের সাথে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল তার চাচাতো ভাই হাফিজ উদ্দিনের। ২০১০ সালের ১০ জুন সকালে সীমানার তিনটি রেন্ট্রি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আঃ হেলিমের বড় ভাই সাফির উদ্দিনকে শাবল দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে সাফির উদ্দিনের ছোট ভাই আঃ হেলিম বাদী হয়ে আসামীদের নামাল্লেখ করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচার চলাকালে আসামি হাফিজ উদ্দিনের মৃত্যু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল হোসেন ২০১০ সালের ৩০ নবেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলে আদালত বুধবার উপরোক্ত রায় ঘোষনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক দাদন ও আসামীপক্ষে এ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।