ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনন্যার অনন্য বিজয় ॥ পুত্রবধূর স্বীকৃতি আদায়!

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ৯ নভেম্বর ২০১৯

 অনন্যার অনন্য বিজয় ॥ পুত্রবধূর স্বীকৃতি আদায়!

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বিয়ের দাবি আদায়ে প্রণয়ের মানুষের বাড়ির ফটকের সামনে পাঁচদিন অনশনের পর শুক্রবার সকালে মেঘনা আক্তার অনন্যার পুত্রবধূর স্বীকৃতি মিলল। তবে আপাতত এর পরে কি হবে এই শঙ্কা রয়েই গেল। অনন্যা বর্তমানে তার হবু শ^শুর আব্দুল জলিল প্রামাণিকের বাড়িতে চিকিৎসাধীন। আব্দুল জলিল জানিয়েছেন অনন্যা সুস্থ হয়ে উঠলে বিয়ের আয়োজন করে আনুষ্ঠানিকভাবে পুত্রবধূর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তোলা হবে। এই ঘটনা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের ভুরঘাটা গ্রামের। ওই গ্রামের মেয়ে মেঘনা আক্তার অনন্যা বগুড়া নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদিন নয়নের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নয়নের বাড়িও একই গ্রামে। কিছুদিন আগে নয়ন ও অনন্যার সম্পর্কে ফাটল ধরে। প্রণয়ের ক্ষেত্রে যা হয় তাই হয়েছিল। একে অপরকে দোষারোপ। একপর্যায়ে নয়ন সাফ জানিয়ে দেয় অনন্যাকে বিয়ে করবে না। অনন্যাও ছাড়ার পাত্রী নয়। নিজের সিদ্ধান্তে স্বামীর অধিকার ও পুত্রবধূর স্বীকৃতি আদায়ে সে নয়নের বাড়ির ফটকের সামনে অনেক লোকজনের সামনে অনশনে বসে সোমবার সকালে। দাবি একটাই- নয়নের সঙ্গে তার বিয়ে দিতেই হবে। শুক্রবার ভোরে অনন্যা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেকটা বিপাকে পড়েন নয়নের বাবা আব্দুল জলিল প্রামাণিক। গ্রামের মানুষের শলা-পরামর্শ ও মধ্যস্থতায় আব্দুল জলিল অনন্যাকে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। অনন্যাকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে তার বাড়িতে রেখে চিকিৎসক ডেকে এনে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। ওই গ্রামটি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদ জানান, অনন্যা সুস্থ হয়ে উঠলে বিয়ের আয়োজনে রাজি হয়েছেন নয়নের বাবা। তারপরও তিনি খেয়াল রাখছেন। এখানেই কি ঘটনার শেষ! এ নিয়ে নানা গুঞ্জন। শঙ্কাও রয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত এই স্বীকৃতি অস্বীকার করে নয়নের বাবা! পাশাপাশি এমন আলাপ চলছে, যে মেয়ে দাবি আদায়ে এতটা পথ অতিক্রম করেছে বিয়ে ও পুত্রবধূর মর্যাদা পেতে সে লড়াই চালিয়ে যাবে। ভিন্ন একটি সূত্র জানিয়েছে প্রণয়ের ঘটনায় অনন্যা ব্রেকআপ করেনি। নয়নই ঘুরে গিয়েছিল।
×