ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারী সীমান্তে চোরাচালানি চক্রের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 নীলফামারী সীমান্তে চোরাচালানি চক্রের দৌরাত্ম্য

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ উত্তরের সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান চক্রের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। অবৈধভাবে গরু ও মাদক পাচারে তারা যেন দিন দিন সক্রিয় হয়ে উঠছে। ঘটছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলিবর্ষণ। এতে নিহত হচ্ছে চক্রের সদস্যরা। এতে করে বাড়ছে সীমান্তে উত্তেজনা। তবে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকছে সিন্ডিকেটের মূল হোতারা। গত কয়েকদিনে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে ৫ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারীতে ১, ঠাকুরগাঁয়ে ৩ ও লালমনিরহাটে ১ জন। এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে ডিমলা উপজেলা কালিগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান সিন্ডিকেটের একটি দল অবৈধভাবে ওপারে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে টহলরত ৫১ বিজিবির কালিগঞ্জ ক্যাম্পের জোয়ানদের ধাওয়ায় একজন আটক হলেও পালিয়ে যায় ২২ জন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে কালিগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ক্যাম্পের হাবিলদার মজনু মিয়া বাদী হয়ে ডিমলা থানায় ২৩ জনকের বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। সেই সঙ্গে বিজিবির হাতে আটক পশ্চিম ছাতনাই কালিগঞ্জ গ্রামের মহম্মদ আলীর ছেলে আমজাদ হোসেনকে (৫০) পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাকে এ দিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানায়, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি ডিমলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর গুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর বিজিবি ও পুলিশ সীমান্ত এলাকায় নজরদারিসহ কড়া পাহারায় রয়েছে। তিনি বলেন সীমান্তে চোরাকারবারিদের কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না। অপরদিকে ডিমলা সীমান্তে এ ঘটনার দিন রাতেই বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় নীলফামারীর ডিমলা সীমান্ত সংলগ্ন লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে আশাদুল ইসলাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশী। সে বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। নিহত আশাদুল উক্ত চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য বলে এলাকাবাসী জানায়।
×