ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ প্রজন্মের সর্ববৃহৎ বছর!

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

ইংলিশ প্রজন্মের সর্ববৃহৎ বছর!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১৯ সাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে ‘এক প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য সর্ববৃহৎ বছর’ শুরু করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড দল। আগামী মে মাসে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। রয়েছে নিজ মাঠে এ্যাশেজ সিরিজ। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে কখনই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ইংলিশরা। এমন গুরুত্বপূর্ণ বছরটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে শুরু করছে ইংল্যান্ড। আসন্ন ক্যারিবীয় সফরে তিন টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ খেলবে ইংলিশরা। সর্বাধিক পঞ্চমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। আগের চারবারের কোনটিতেই শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি ইংলিশরা। এর মধ্যে ১৯৭৯ সালে একবার ফাইনালে উঠলেও রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তবে নিজ দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে দুু’বার ফাইনাল খেলে ইংল্যান্ড। ঐ দু’বারও শিরোপা বঞ্চিত হয় তারা। তবে এবার শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বুক বেঁধেছে ইংল্যান্ড। নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধার সঙ্গে এই প্রজন্মের দল নিয়ে বেশ আশাবাদী ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন। এছাড়া গত বছর ওয়ানডে ফরমেটে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ নিয়েছে ইংল্যান্ডই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য একদিনের ও টেস্ট ফরমেটে মনোযোগ বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জের। টেস্ট সিরিজ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শুরু করবে ইংল্যান্ড। ব্রিজটাউনে ২৩ জানুয়ারি শুরু প্রথম টেস্ট। আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয়স্থানে ইংলিশরা। তবে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। র‌্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যবধান বিস্তর। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান অষ্টম, ওয়ানডেতে নবম। গত বছর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট হারলেও দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ইংল্যান্ডের পারফর্মেন্স মোটেও ভাল নয়। ৬৮ টেস্ট খেলে মাত্র ১৪টি ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা। এছাড়া মাত্র তিনবার ১৯৬০, ১৯৬৮ এবং ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে পেরেছে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০০৪ সালে মাইকেল ভনের নেতৃত্বে ক্যারিবীয় দ্বীপে চার ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে সর্বশেষ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১-এ ড্র করে ইংলিশরা। এবারের সফরে ইংল্যান্ডের চিন্তার আরও একটি কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রিচার্ড পাইবাস। ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া পাইবাস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাবেক কোচ ছিলেন। ইংল্যান্ড সম্পর্কে ভাল ধারণা রয়েছে তার। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। তাই এ বছরের বিশ্বকাপকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ডিরেক্টর এন্ড্রু স্ট্রস। সীমিত ওভার ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। বছরটি ইংল্যান্ডের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক মাইকেল আর্থারটনও। তিনি বলেন, ‘এ বছর ইংল্যান্ডের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সঙ্গে এ্যাশেজ সিরিজ রয়েছে। নারীদের এ্যাশেজও রয়েছে। তবে এখন ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি ভাবা উচিত ইংল্যান্ডের।’
×