ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে শিশু জুয়েল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

টাঙ্গাইলে শিশু জুয়েল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান (৬) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের বিচারক শওকত হোসেন চৌধুরী এ দন্ডাদেশ দেন। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম (৪০) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, বিগত ২০১৬ সালের ১৮ নবেম্বর রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিল মাগুরাটা গ্রামে ধর্ম সভা (ওয়াজ মাহফিল) অনুষ্ঠিত হয়। সভাস্থলের পাশেই নিহত শিশু জুয়েল হাসানের বাবা শহিদুর রহমান ও মা রোজিনা বেগম চায়ের দোকান করেন। ওই চায়ের দোকানে শিশু জুয়েল হাসানও অংশ নেয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চায়ের থেকে চলে যায় জুয়েল হাসান। পরে রাত ১ টার দিকে ধর্ম সভা শেষ হলেও জুয়েল হাসান আর ফিরে না আসায় বাবা মা জুয়েল হাসানকে খুঁজতে থাকে। পরদিন সকাল সাড়ে ৯ টায় পাশের এলাকা পিচুরিয়া কবরস্থানের পাশে ধান ক্ষেত থেকে চোখ উপড়ে ফেলানো জুয়েলের রক্তাত্ব লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ২০ নভেম্বর অজ্ঞাত নামা আসামী করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত জুয়েল হাসানের মা রোজিনা বেগম। এরপর ১১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এস আই ওবাইদুর রহমান। বিগত ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল হাসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত আসামী আব্দুর রহিম। পরদিন ৫ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হামিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন আসামী আব্দুর রহীম। স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে আব্দুর রহিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জুয়েল হাসানের মায়ের সাথে অভিযুক্ত আসামী পরকীয়া ছিল। পরকীয়ায় জুয়েল হাসান সমস্যা করার কারণে জুয়েলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে আসামী আদালতে রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন পিপি এস আকবর খান। বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট আরফান আলী মোল্লা, এডভোকেট শামস উদ্দিন।
×