ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন পরিবারের পুনর্মিলনী ॥ বৈঠকে দুই কোরিয়ার প্রতিনিধিরা

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২৩ জুন ২০১৮

  যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন পরিবারের পুনর্মিলনী ॥ বৈঠকে দুই কোরিয়ার প্রতিনিধিরা

ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে কোরীয় যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর সদস্যদের পুনর্মিলনী আয়োজনে আলোচনায় বসেছেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা। উত্তর কোরিয়ার পর্যটন কেন্দ্র মাউন্ট কুমগাংগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় এ আলোচনা শুরু হয়। -খবর এএফপির। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ও উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে দুই দফা বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করতে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। ২০১৫ সালে সর্বশেষ দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন কিছু পরিবারের সদস্যদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এবং পারমাণবিক পরীক্ষার সূত্র ধরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছালে পুনর্মিলনীর আয়োজনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিককে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। ওই ধারাবাহিকতায় এপ্রিলের মুন-কিম শীর্ষ সম্মেলনে পুনর্মিলনীর জন্য আগস্টের একদিন দুই কোরিয়াতেই সাধারণ ছুটিরও পরিকল্পনা হয়। বিশ্বাস এবং একে অপরের প্রতি বিবেচনাশীল হয়ে আলোচনায় ভাল ফল আনতে সক্রিয় প্রচেষ্টা থাকা উচিত আমাদের। অতীতেও আমরা অংশীদার ছিলাম এবং এখনও আমাদের উচিত হবে নেতারা যে পথে পরিচালনা করছেন, সে পথে অগ্রসর হওয়া বলেন উত্তরের প্রতিনিধিদলের প্রধান ও দেশটির কমিটি ফর দ্য পিসফুল রিইউনিফিকেশন অব দ্য ফাদারল্যান্ডের উপপ্রধান পাক ইয়ং ইল। যুদ্ধের সময় বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর অনেক সদস্যের বয়স ৮০ পেরিয়ে যাওয়ায় তাদের পুনর্মিলনীকে ‘মানবিক কাজ ও মানব অধিকার’ হিসেবে দেখে আসছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স ও ডাক যোগাযোগ পুনরায় শুরুরও প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
×