ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে ইটভাটাতে দেদারসে পুড়ছে কাঠ

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আমতলীতে ইটভাটাতে দেদারসে পুড়ছে কাঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ড্রাম চিমনি অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠছে। এ সকল ইটভাটিতে দেদারসে পুড়ছে কাঠ। নিরব পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন। ইটভাটির মালিকরা পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের লোকজনদের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছেন। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভাব করছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে টাকা দিলেই মিলে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর অনুমতি। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন ইটভাটাতে এতে টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। জানাগেছে, বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়া ১০ টি ড্রাম চিমনি (ব্যারেল) ইটভাটা রয়েছে। এ সকল ইাটভাটি স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ও ৫০-৬০ ফুট উচ্চতার অস্থায়ী চিমনি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। জ্বালানী হিসাবে সকল ইটভাটির্তে কাঠ পোড়ানোর জন্য গ্রাম ও ফারতার বনাঞ্চল থেকে বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে স্তুপ করে রাখছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকির আশঙ্কা করেছে পরিবেশবাদীরা। পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কর্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরেফিন বাদল বলেন, আমতলীতে অনেক ইটভাটাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কেউ ইটভাটি নির্মাণ ও কাঠ দিয়ে ইট পোড়ালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি আরো বলেন, আমতলীতে পাঁচটি ইটভাটাতে জরিমানা করে ড্রাম চিমনি ভেঙ্গে দিয়েছি। তবে ভেঙ্গে দেয়ার পরে কিভাবে আবার ইট পোড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
×