ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাটক নিয়ে আমি সবসময় ইতিবাচক -নোভা

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

নাটক নিয়ে আমি সবসময় ইতিবাচক -নোভা

ছোট পর্দার প্রিয়মুখ নোভা ফিরোজ। মডেল-অভিনেত্রী নোভা তার রূপ-সৌন্দর্যের গুণে খুব স্বল্পসময়ের মধ্যেই শোবিজ অঙ্গনে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন। অভিনয়ের ষোলো কলা রপ্ত করে তিনি প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলছেন। ২০০৫ সালে ‘প্রাণ ডালে’র একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের মাধ্যমে মিডিয়ায় অভিষেক ঘটে নোভার। ২০০৬ সালে তিনি ‘ইউ গট দ্য লুক’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে অভিনয়ই তার ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছে। পারিবারিক জীবনের সবকিছু ঠিক রেখেও তিনি সফলতার সঙ্গে মিডিয়ায় কাজ করে যাচ্ছেন। মাঝে কিছুদিন অনিয়মিত থাকলেও আবার অভিনয়ে সরব হয়ে উঠেছেন। বর্তমান সময়ের যে কজন তারকা শৈল্পিক অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে ঝলক ছড়িয়ে যাচ্ছেন নোভা তাদের অন্যতম। তার পুরো নাম ফারজিন বিনতে ফিরোজ নোভা। তবে সবার কাছে নোভা নামেই পরিচিত তিনি। সমসাময়িক ব্যস্ততা ও অনন্য প্রসঙ্গে কথা হয় আনন্দ কণ্ঠর সঙ্গে। বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে? বেশ কিছু নতুন সিরিয়াল করছি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম দীর্ঘ ধারাবাহিক বি জেনারেশন, পাগলা হাওয়া, রুপালি প্রান্তর। আবু হায়াত মাহমুদের বৃষ্টিদের বাড়ি শেষ হয়েছে। অন্যান্য সিরিয়ালও করছি। তাছাড়া উপস্থাপনা নিয়েও ব্যস্ত আছি। বাংলা ভিশনের ‘সৌন্দর্য কথন’ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের মালঞ্চ এ দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। এখন এ নিয়েই ব্যস্ততা চলছে। ‘পাগলা হাওয়া’ নাটকের গল্প প্রসঙ্গে বলুন? ড্রিম মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত প্রচারের অপেক্ষায় থাকা দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘পাগলা হাওয়া’ একটি হাস্যরসাত্মক নাটক। তবে এটি হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিক হলেও একটি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন নির্মাতা আশিক মাহমুদ রনি। এটি তার প্রথম ধারাবাহিক হওয়ায় একটু বেশিই যতœবান তিনি। আমার বিশ্বাস, ‘পাগলা হাওয়া’ সবার মন জয় করতে সক্ষম হবে। জাহাঙ্গীর হোসেন বাবরের ভাবনায় যৌথভাবে নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন আশরাফুজ্জামান বাবু ও জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর। ১৫ শয্যাবিশিষ্ট পুরোপুরি স্বেচ্ছাসেবী একটি মানসিক হাসপাতালের মানসিকভাবে দুর্বল কিংবা অসহায় কিছু মানুষকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এর গল্প। হাসপাতালটি পরিচালনা করেন ড. বাবর। সেখানকার মানুষগুলোর দৈনন্দিন জীবন-চিত্রই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নাটকের একেকটি পর্বে। পর্ব পরিচালক হিসেবে আছেন মুসাফির রনি। এতে পাগল ও অন্যান্য চরিত্রে হাজির হবেন আনিসুর রহমান মিলন, শহীদুজ্জামান সেলিম, এফ এস নাঈম, প্রাণ রায়, ড. এনামুল হক, আমিরুল হক চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর, শাহেদ আলী, আহসানুল হক মিনু, শবনম পারভিন, মৌটুসী বিশ্বাস, চাঁদনী, নিমা রহমান, মুনীরা মিঠু, শামীমা তুষ্টি, সাবিহা আজিজ, জারা জারিব প্রমুখ। গল্পের প্রয়োজনে তো দেশ-বিদেশ নানা জায়গাতেই শূটিং করতে হয়।প্রশ্ন করি কেমন লাগে? উত্তরে নোভা বলেন, দেশে বিদেশে শূটিং করতে ভালই লাগে কারন, একটা পুরো টিম নিয়ে লম্বা সময় যাওয়া শূটিং করা সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করা অনেক ভাললাগে। তবে দেখা গেছে ওই জায়গায়টায় আগেও গেয়েছি তারপরও সবাই মিলে এক সঙ্গে শূটিং করা থাকা গল্প করা আড্ডা দেয়া অনেক আনন্দের। নাটকের মান ধরে রাখার জন্য কি করেন? এটা আসলে আমার একার চেষ্টায় নাটকের মান ধরে রাখা সম্ভব না। আমার একার চেষ্টায় নাটকের মান ভাল হয়ে যাবে না। তবে সবাই চেষ্টা করলে অনেক ভাল হবে। আমি যদি আমার জায়গায় থেকে ঠিকভাবে করি আমি যেনও আমার কাজের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ফাঁকি না দেই। তাহলে আমার জায়গা থেকে নাটকের মান ধরে রাখার জন্য যতটুকু করণীয় সেটা হয়ত করা হবে। এ রকম যদি প্রত্যেকে তাদের কাজটা ঠিকমতো করে তাহলে নাটকের মান ভাল হবে। চ্যানেল থেকে শুরু করে নাটকের পুরো টিম। প্রত্যকের একটা ভূমিকা আছে তারা যদি তাদের ভূমিকাটা ঠিকমতো রাখে তাহলে নাটকের মান ভাল হবে। কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করেন? যে কোন চরিত্র যেখানে অভিনয়ের সুযোগ আছে। বড়পর্দা নিয়ে কোন ভাবনা আছে? না এখন পযন্ত কোন ভাবনা নেই। তবে কখন যদি ব্যাটে বলে মিলে যায় তাহলে করব। প্রায় ৫ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানলেন। নাট্যকার রায়হান খানের সঙ্গে সংসার ভাঙ্গার কারণ জানতে চাই? সমস্যা থেকে একটি সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। এটি স্বাভাবিক। আমার বিষয়গুলো অনেকটা এমনই। তবে আমি কখনই চাইনি আমাদের সন্তানের প্রতি এই প্রভাব পড়ুক। আমার সন্তান তার বাবাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুক সেটা চাইনি। তাই আমরা স্ব ইচ্ছাতেই এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেই। স্বাভাবিকভাবেই কিছু অভিযোগ থাকে স্বামীর প্রতি, আপনার কোন অভিযোগ আছে কি-না? না, সংসার ভাঙ্গা নিয়ে আমার কার প্রতি অভিযোগ বা অভিমান নেই। একটি সম্পর্কে সম্মানটা সবচেয়ে বড়। সেই সম্মান আমাদের সম্পর্কে সবসময় থাকবে। সম্প্রতি নাটকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশংসা বা সমালোচনা দুটিই হচ্ছে। আপনার মন্তব্য কী? একটা দিকের ভাল খারাপ দুটিই আছে। মানুষের সমালোচনা চোখে পরে তাড়াতাড়ি এটার পেছনেও কারণ আছে আমার মনে হয়। আমাদের নাটক নিয়ে আমি সবসময় ইতিবাচক। কারণ আমাদের এখানে বাজার ও বাজেটের যেই অবস্থা তার খুব বেশি ভাল নয়। এরমধ্যে যারা কাজ করছেন তার বেশ পরিকল্পিতভাবেই কাজ করছেন। নতুন যারা কাজ করছেন তারাও বেশ ভাল কাজ করছেন।
×