ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমার স্বপ্নের এ্যালবাম ‘ঠুমরি ভলিউম ১’ ॥ প্রিয়াংকা গোপ

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আমার স্বপ্নের এ্যালবাম ‘ঠুমরি ভলিউম ১’ ॥ প্রিয়াংকা গোপ

সঙ্গীতশিল্পী প্রিয়াংকা গোপ। সঙ্গীতের অমিয়ধারায় নিজেকে সিক্ত করার পাশাপাশি তার সঙ্গীতলব্ধ জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন নতুন প্রজন্মের কাছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক। ছায়ানট বিদ্যায়তনে খ-কালীন শিক্ষকতার পাশাপাশি শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চায় নিজেকে রেখেছেন ব্যপৃত। বিভিন্ন ধারার গানের একের পর এক এ্যালবাম প্রকাশ করে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন সুকণ্ঠের এ শিল্পী। জি সিরিজের ব্যানারে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় প্রকাশিত হচ্ছে শিল্পীর কণ্ঠে ধারণকৃত শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের এ্যালবাম ‘ঠুমরি ভলিউম ১’। অনুষ্ঠানে শিল্পীর একক কণ্ঠে পরিবেশিত হবে সঙ্গীত। কথা হয় শিল্পীর সঙ্গে। ‘ঠুমরি ভলিউম ১’ সম্পর্কে বলুন। প্রিয়াংকা গোপ : এটা আমার পূর্ণাঙ্গ ঠুমরির এ্যালবাম। ঠুমরি হচ্ছে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের একটি ফর্ম। এটা রাগের ওপর বেজ করেই হয়ে থাকে। মূলত রাধা-কৃষ্ণের কাহিনী নিয়েই এ গান। এতে রাধার বিরহের কথাই উল্লেখ থাকে। আমার এ এ্যালবামে ভিন্ন ভিন্ন রাগের ৬টি বন্দিশ আছে। রাগগুলো হচ্ছে- ভৈরবী, ভূপালী, কিরওয়ানী, কৌশী ধ্বনি ও বাঁরোয়া। ঠুমরির এ্যালবাম বের করার কারণ কী? প্রিয়াংকা গোপ : আমি দীর্ঘদিন বিদুষী উর্মী দাশগুপ্তর কাছে ঠুমরি শিখেছি। এছাড়া কলকাতায় এক প্রতিযোগিতায় এ গানে আমি প্রথম হই। এর ওপর একপ্রকার ভালবাসা জন্মেছে। মূলত আমি যে ঠুমরি জানি এটাকে প্রকাশ করার জন্যই এ্যালবামটি বের করছি। এছাড়া আমার শ্রোতাদের তাগিদ তো আছেই। এই এ্যালবামটি আমার স্বপ্নের এ্যালবাম। আমাদের দেশে ঠুমরিচর্চা সম্পর্কে বলুন। প্রিয়াংকা গোপ : প্রয়াত ওস্তাদ জাকির হোসেন ঠুমরিচর্চা করতেন। ওনার এ্যালবামও ছিল। আর কাউকে এ গানের চর্চা করতে দেখি না। আমাদের দেশে ঠুমরি গানের চর্চা হয় না বললেই চলে। আমাদের দেশে রাগসঙ্গীতের চর্চা নিয়ে বলুন। প্রিয়াংকা গোপ : রাগ সঙ্গীতের প্রচার-প্রসার আমাদের দেশে খুবই কম। তার পরও অনেকে চর্চা করছেন। গান শেখাতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, আগের তুলনায় চর্চা বেড়েছে, তবে পর্যাপ্ত নয়। কোন প্লাটফর্ম না পেলে এ গানের প্রতি নতুনরা আকৃষ্ট হবে না। এর জন্য সরকারী ও বেসরকারী পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি মিডিয়াদেরও এগিয়ে আসা উচিত। আপনার আগের এ্যালবাম সম্পর্কে বলুন। প্রিয়াংকা গোপ : ‘সুরে সুরে দেখা হবে’ শিরোনামে ২০১১ সালে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে গজল আঙ্গিকের আমার প্রথম একটি একক গানের এ্যালবাম প্রকাশ হয়। বেঙ্গল থেকে ‘রাগা ডিলাইটস্’ নামে একটি রাগসঙ্গীতের এ্যালবামও বের হয়। জি সিরিজ থেকে ‘চাঁদ জানলা’ শিরোনামের একটি আধুনিক গানের এ্যালবাম প্রকাশ হয়। এছাড়া কয়েকটি মিক্সড এ্যালবামেও কণ্ঠ দিয়েছি। বাংলা গানকে এগিয়ে নিতে করণীয় কী? প্রিয়াংকা গোপ : নতুন যারা আসছে তাদের বেশি করে গানের চর্চা করা উচিত। গানকে হৃদয়ে ধারণ করে গাইতে হবে। আমরা গানের হৃদয়স্পর্শী কথার দিক দিয়ে পিছিয়ে আছি। ভাল কথা ও সুর হলে গানের উত্তরণ ঘটানো সম্ভব। সঙ্গীত নিয়ে পরিকল্পনা কী? প্রিয়াংকা গোপ : সুদূরপ্রসারী তেমন কোন পরিকল্পনা নেই। ভবিষ্যতে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতকে আরও সমৃদ্ধ এবং প্রসারকল্পে কাজ করে যেতে চাই। আমাদের দেশে যেন বাইরে থেকে শিল্পী এনে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের অনুষ্ঠান না করতে হয়, এ ধরনের ক্ষেত্র তৈরি করতে আগ্রহী। -গৌতম পাণ্ডে
×