নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদরে সংখ্যা নিয়ে বিরূপ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নড়াইল সদর আমলী আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় সমন পেয়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে নড়াইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক মো. জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন। জেলার কালিয়া উপজেলার চাপাইল গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মো. রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সখ্যার প্রতিও দৃঢ় বিশ্বাসী। বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমানের সকল কথা ও কাজের প্রতি অসীম শ্রদ্ধাশীল একজন দেশ প্রেমিক নাগরিক। অপরদিকে উপরোক্ত আসামী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন। গত ২১/১২/১৫ তারিখ সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ হয়েছেন বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হয়েছেন, তা নিয়ে বির্তক আছে। এছাড়া তিনি একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে ইঙ্গিত করে বলেন ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি’ উপরোক্ত আসামীর এই বক্তব্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং পরের দিন ২২/১২/১৫ তারিখে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা এবং জাতির জনকের গৌরবজনক ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে উদ্দেশ্যমুলক বক্তব্য দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকতৃ মামলায় সমন পেয়ে তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আগামী ৩১ অক্টোবর ১৬ তারিখে পরবর্তি দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।
