ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিপিডির বাজেট আলোচনা সভায় বক্তারা

অর্থনীতির প্রতিটি সূচক এগিয়ে যাচ্ছে অবিশ্বাস্য গতিতে

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২০ জুন ২০১৬

অর্থনীতির প্রতিটি সূচক এগিয়ে যাচ্ছে অবিশ্বাস্য গতিতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ। তবে প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটে মূল বিষয় হলো প্রবৃদ্ধি অর্জন। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে কাজ করছে সরকার। আর এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকারী-বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারী খাতের বিনিয়োগ বাড়লেও ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ সেইভাবে বাড়ছে না। রবিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাজেট সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং রফতানি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অগ্রগতি অসাধারণ। যা কোন প্রতিবেশীর সঙ্গে মিলানো যাবে না। তিনি বলেন, এবারের বাজেটের মূল বিষয় হলো প্রবৃদ্ধি অর্জন। বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ হবে। বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বড় হলেও তা অর্জন করা সম্ভব উল্লেখ করে মোস্তফা কামাল বলেন, গত ৫ বছরে রাজস্ব আদায়ে ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। তাই এবারের বাজেটেও রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা ঠিক জায়গায় আছি। প্রত্যাশিত স্বপ্ন অনুযায়ী আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুস্তফা কামাল। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের জনগণের ভোটে জাতীয় নির্বাচন আর হবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যে পথে হাঁটছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে আর জনগণের ভোটে নির্বাচন হবে না। সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত দু’বছরে বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ কম ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সরকার বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ যে পর্যায়ে উন্নীত করতে চায়, তার জন্য এ খাতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। কিন্তু এই বিনিয়োগ কীভাবে আসবে সে বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা নেই প্রস্তাবিত বাজেটে। প্রস্তাবিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট সম্পর্কে বলা হয়, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট হচ্ছে, বড় বাজেট হচ্ছে। বাজেট তো বড় হবে, অর্থনীতি বড় হলে বাজেট বড় হবে। কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং ব্যয়ের পরিমাণও বড় হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের অর্থনীতি যেভাবে বাড়ছে, সেই অনুপাতে বাজেটে আয় ব্যয়ের খাতগুলো বাড়ছে কি না সেটাও দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
×