ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাতুড়ে ডাক্তারের কবলে পড়ে হাত হারাতে বসেছেন বৃদ্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

হাতুড়ে ডাক্তারের কবলে পড়ে হাত হারাতে  বসেছেন বৃদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ২৯ এপ্রিল ॥ পায়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এসে হাতুরে ডাক্তারের কবলে পড়ে অজানা ইনজেকশন নিয়ে ডান হাত হারাতে বসেছেন বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি এলাকার মোঃ শাহ আলম (৬৮) নামের এক বৃদ্ধ। তার হাতটি রক্ষা করতে ৫ এপ্রিল বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার কামরুল ইসলাম হাতের অপারেশন করেছেন বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শাহ আলম। এ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। জানা গেছে, পায়ের ব্যথায় টিকতে না পেরে চিকিৎসার জন্য বেতাগী থেকে বরগুনা আসেন শাহ আলম। গত ২৬ মার্চ ভাল এক চিকিৎসকের খোঁজে বরগুনায় এসে হাতুরে ডাক্তার জহিরুল মেডিক্যাল হলের ওষুধ ব্যবসায়ী পল্লী চিকিৎসক জহিরুলের খপ্পরে পড়েন তিনি। জহিরুল তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে বলেছিলেন আমিও পাস করা ডাক্তার। তার এক ইনজেকশনে মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে। এই বলে একটি ইনজেকশন বৃদ্ধের ডান হাতে দেন। এতে হিতে বিপরীত হয়ে বৃদ্ধের হাতে পচন ধরে। অপচিকিৎসার কারণে ওই বৃদ্ধ এখন অপারেশন করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে হাত কেটে ফেলার প্রহর গুনছেন। অভিযুক্ত মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, এক হাজার ইনজেকশনের মধ্যে একটি সমস্যা হতেই পারেÑ এজন্য কি আমি দায়ী। তার ডায়াবেটিস আছে আমি জানতাম নাকি। পরীক্ষা না করে এমন ইনজেকশন কেন করলেনÑ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাদের ম্যানেজ করলেই তো সব মিটমাট হয়ে যায়। তাছাড়া আমার মামাত ভাইও তো সাংবাদিক। তিনি যা বলবেন তাই হবেÑ বলেই রেগে গেলেন তিনি। আর কেনই বা আমাকে বিপদে ফেলবেন। বলেই ক্যাশবাক্স থেকে এক হাজার টাকার নোট এ প্রতিনিধিকে ধরিয়ে দিতে চাইলেন। বরগুনা সিভিল সার্জন ডাঃ রুস্তুম আলী বলেন, হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। কোনরকম একটি পল্লী চিকিৎসকের সনদ নিয়েই রাস্তার পাশে চেম্বার খুলে বসেন এই অপচিকিৎসকরা।
×