ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত নিধনে ডাক বিভাগের চিঠি

মশার দাপটে অতিষ্ঠ রাজশাহী নগরবাসী

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১ মার্চ ২০১৬

মশার দাপটে অতিষ্ঠ রাজশাহী নগরবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরজুড়ে এখন নতুন জঞ্জাল মশার অত্যাচার। দিনে রাতে ঝাঁতে ঝাঁকে মশার অত্যাচারে রীতিমতো অতীষ্ঠ নগরবাসী। কী অফিস- আদালত, কী বাসাবাড়ি, কোনখানেই নিস্তার নেই। গরম মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহীজুড়ে বেড়েছে মশার উৎপাত। মশার অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে এরই মধ্যে মশক নিধনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের উত্তরাঞ্চলীয় শাখা। সোমবার ডাক বিভাগের সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল (কল্যাণ) কামাল মোস্তফা শরীফ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি রাসিকের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি মশার উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে অফিসে ঠিকমতো কাজকর্ম করা যাচ্ছে না। দিনেরাতে সারাক্ষণ মশার আক্রমণে দিশেহারা সবাই। সরকারী কাজের স্বার্থে দ্রুত মশক নিধনের জন্য বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। এদিকে দিনের বেলায় মশার উৎপাত কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর তা বেড়ে যায় কয়েকগুণে। অব্যাহত মশার কামড়ে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নগরবাসীর কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। নগরবাসীর অভিযোগ, নগরীর ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় মশার প্রজনন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে মশার কামড়ে ঘরে বসে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। কয়েল জ্বালিয়েও মিলছে না রক্ষা। বাধ্য হয়ে সব সময় কক্ষের জানালা-দরজা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। দিনের বেলায় ব্যবহার করতে হচ্ছে মশারি। এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থীরা এখন নতুন যন্ত্রণা হিসেবে দেখা দিয়েছে মশার উপদ্রব। ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলের ড্রেন, নর্দমার ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মশক নিধন কার্যক্রম গ্রহণ না করাকেই এজন্য দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, গরমের শুরুর মুহূর্তেই ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব বেড়েছে। দিন-রাত সমান তালে মশা কামড়ে যাচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজ মুন্না বলেন, পুকুর ও ড্রেনগুলোর ময়লা আবর্জনা অপরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে না করায় আমরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। অনেক শিক্ষার্থী ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি ভয়াবহ জিকা ভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারেন।
×