ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজব হলেও গুজব নয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

আজব হলেও গুজব নয়

মদপানে আর নয় মাতলামি মদপান আমাদের দেশে সামাজিকভাবে স্বীকৃত না হলেও উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। তবে সমস্যা হচ্ছে মদপান করে মাতলামি। আর এই মাতলামি করতে গিয়ে অনেকেই ঘটিয়ে বসেন নানা অপ্রীতিকর কাণ্ড। এ ধরনের লোকদের জন্য সুখবর দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিয়ংইয়ং টাইমস জানিয়েছে, জিনসেং গাছ থেকে নতুন এক ধরনের মদ উদ্ভাবন করেছে উত্তর কোরিয়া। এ মদপানে পানকারীকে মাতাল হতে হবে না। গণমাধ্যমটির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার খাদ্য ও পানীয় প্রতিষ্ঠান ‘তায়েদংগ্যাং ফুডস্টাফ ফ্যাক্টরি’ মাতলামি-মুক্ত মদ তৈরির জন্য কাজ করে আসছে। এবার তারা নতুন এক ধরনের মদ তৈরি করেছে, যাতে একদিকে অবসাদ দূর হবে অপরদিকে এ মদপানে হতে হবে না মাতাল। নিবন্ধে বলা হয়, ‘রোগ নিরাময়কারী গাছ জিনসেং থেকে নতুন এক ধরনের মদ তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরাও এর প্রশংসা করেছেন। এটি অত্যন্ত কোমল প্রকৃতির এবং এতে কোন মাতলামি হবে না।’ এর আগে গত বছরের আগস্টে উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি এক নিবন্ধে জানিয়েছিল, তাদের সংগিওগান বিশ্ববিদ্যালয় মদের মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে এটা পান করলে মাতাল না হতে হয়। ওয়াটারপ্রুফ শাড়ি স্ত্রীর জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে ওয়াটারপ্রুফ শাড়ি কিনলেন ভারতের কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। ওয়াটারপ্রুফ কসমেটিকের কথা অহরহ শোনা গেলেও ওয়াটারপ্রুফ শাড়ির কথা শোনা গেল এই প্রথম। কর্নাটক সিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েই শাড়িটি কিনেন তিনি। শাড়িটির দাম একলাখ নয় হাজার তিন শ’ পঁচাশি রুপী। মুখ্যমন্ত্রীর শাড়ি কেনার পর থেকেই ওয়াটারপ্রুফ শাড়ি কেনার প্রতি ঝোঁক বেড়েছে সাধারণ মানুষের। শাড়িটির বিশেষত্ব হচ্ছে বৃষ্টির দিনে এই শাড়ি পড়ে বের হলে ছাতার প্রয়োজন হবে না। তবে কেবল কানে শুনে তিনি শাড়িটি ক্রয় করেনি। কেনার আগে ভাল মতো যাচাইও করে নিয়েছেন তিনি। বেনারসীর মতো সোনালি জড়ির কাজ করা কমলা রঙের সিল্কের শাড়িটি কেনার আগে তার মধ্যে পানি ঢেলে দেখে নেন তিনি। তাও একটু-আধটু নয়, পুরো এক লিটার পানি শাড়ির মধ্যে ঢেলে দেন সিদ্ধারামাইয়া। কিন্তু অত পানিতেও শাড়িটি এতটুকু ভেজেনি। আর ওয়াটারপ্রুফ হলেও শাড়িটি খুব একটা ভারি নয়। দেখতেও একেবারে বেনারসী-কাঞ্জিবরমের মতো। তাই পকেটে লাখ টাকা না থাকা সত্ত্বেও ধারে শাড়িটি বাড়ি নিয়ে যান এবং পরে অবশ্য টাকা শোধ করে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর শাড়ি কেনার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষেরও ওয়াটারপ্রুফ শাড়ির কেনার প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো ওয়াটারপ্রুফ শাড়ির অর্ডারও এসেছে বলে জানিয়েছে কর্নাটক সিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন। প্যান্টবিহীন দিবস বর্তমান বিশ্বে ‘দিবস’ এর কোন শেষ নেই। বছরের প্রতিদিনই কোন না কোনভাবে বিশেষ ও বিচিত্র ‘দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে কোথাও না কোথাও। এই রকম অনেক দিবসের কথা আমরা জানিও না। সাধারণ একটা দিন মানুষ এখন আর কাটাতে চায় না। তারা চায় প্রত্যেকটা দিনই হবে অসাধারণ এবং উদ্ভট। সেই উদ্দেশেই বোধহয় লন্ডনবাসী উদযাপন করেছে ‘নো প্যান্টস ডে’ বা ‘প্যান্টবিহীন’ দিবস। এটা কাল্পনিক কোন ব্যাপার না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যাশাবেল জানিয়েছে, ‘দ্য নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’ বা প্যান্ট না পরে ভূগর্ভস্থ ট্রেনে চলাচল করার এই রীতি চালু হয়েছিল ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। রীতি চালু করেছিল ‘ইম্প্রভ এভরিহোয়ার’ নামের একটি দল। এই দলটির কাজ হচ্ছে, পাবলিক প্লেসে গিয়ে সবার সামনে বোকামি বা ছ্যাবলামি জাতীয় কোন জিনিস ঘটা করে উদযাপন করা। সম্প্রতি লন্ডনের আন্ডার গাউন্ডে দেখা যায়, ট্রেনে যাতায়াত করছে ভদ্রবেশী কয়েকজন মানুষ। অনেকের পরনেই স্যুট-টাই কিংবা চমৎকার জামা-গেঞ্জি। কিন্তু এটা শুধু শরীরের উপরের অংশে। নিচের অংশ উলঙ্গ, শুধুমাত্র হাফ প্যান্ট কিংবা আন্ডার প্যান্ট পরা। কিন্তু পায়ে জুতো মোজা ঠিকই রয়েছে। যুক্তরাজ্যের অনলাইনভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য মিরর জানিয়েছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে লন্ডনবাসী উদযাপন করেছে প্যান্টবিহীন দিবস। এই উদ্ভট উদ্যোগ আরও যাত্রীদেরকে উৎসাহিত করছে নিউইয়র্ক, বার্লিন এবং প্রাগের মতো শহরে ট্রেনে চড়ে স্বাভাবিক যাত্রীদের মতো আচরণ করার জন্য, কিন্তু পরনে কোন প্যান্ট থাকতে পারবে না। আর সব ঠিক থাকবে। যাত্রীরা ভাব করবে যেন সব কিছু স্বাভাবিক। এটাই হচ্ছে মূলত ‘ছ্যাবলামির উদযাপন’। যে সমস্ত মানুষ এই ‘ছ্যাবলামির উদযাপন’ নিয়ে কিছু জানেন না, তারা সবাই এটা জেনে অবাক হবেন যে, এই প্যান্টবিহীন দিবসের উদযাপনকারীরা গোটা লন্ডন শহরে ব্যাপক কানাঘুষা, আনন্দ এবং হাস্যরসের সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। আরাফাত পারভেজ
×