ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৫ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

ঢাকা বিশ্বের আধুনিক এবং বড় শহরগুলোর মধ্যে একটি কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই ঢাকা শহর এখন বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হয়েছে। একমাত্র ছুটির দিন ছাড়া শহরের কোন রাস্তা দিয়েই হাঁটা যায় না। শহরের ব্যস্ততম রাস্তার পাশে, ফুটপাথে দোকান বসার ফলে রাস্তার অবস্থা মাছবাজারের চেয়েও খারাপ হয়ে যায়। এছাড়া ১০ কিলোমিটার রাস্তা গাড়িতে বা বাসে যেতে যেখানে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগার কথা, সেখানে ২-৩ ঘণ্টাও লেগে যায়। একদিকে বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি করা জ্বালানির অপচয় হয়, অন্যদিকে নষ্ট হয় মানুষের মূল্যবান কর্মঘণ্টা। ছুটির দিন ছাড়া শহরের ব্যস্ততম সড়কের পাশ দিয়ে চলাচল করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০ বছর পর যখন দেশের জনসংখ্যা দেড়গুণ হবে তখন ঢাকা শহরে চলাচল পুরোপুরি অচল হয়ে পড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এখনই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো ভেবে দেখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রথমত, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকায় মেট্রোরেল চালু করা। দ্বিতীয়ত, ঢাকাকে ভেঙ্গে নতুন বিভাগ করার চেয়ে নতুন একাধিক জেলা করার বিষয়টি ভেবে দেখা। যেমনÑ সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর নিয়ে একটি এবং কেরানীগঞ্জ, দোহার, নবাবগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান নিয়ে নতুন আরও একটি জেলা করা। এতে ঢাকার ওপর পার্শ্ববর্তী এ সব উপজেলার মানুষের চাপ অনেকটা কমে যাবে। তৃতীয়ত, পুরান ঢাকার কোর্টকে সিটি কর্পোরেশনের ভাগ অনুযায়ী উত্তর-দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করা। চতুর্থত, শহরের ভেতর থেকে গার্মেন্টসসহ সব শিল্প-কারখানা বাধ্যতামূলকভাবে ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলার জনগণ অনেক আশা আকাক্সক্ষা নিয়ে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিন-তিনবার আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। অবশ্যই জনগণ বিএনপি-জামায়াত থেকে আপনার কাছে কিছু আশা করে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা ভোগ করার জন্য গদি দখল করে আর জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষমতায় থেকে জনগণের সেবা করা, দেশকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের গ্রামগুলোকে সুইজারল্যান্ডের লুজানের মতো সাজাতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সফল করার জন্য জনগণ আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আপনার কাছে জনগণ মাহাথীর মোহাম্মদ/লীকুয়ান ইউয়ের মতো নেতৃত্ব আশা করে। শেখ ফরিদ আহমেদ বারিধারা, ঢাকা ংযবরশযভধৎরফ১৯৭১@মসধরষ.পড়স মানুষই নিষিদ্ধ করবে সেনা নায়ক জিয়া ও এরশাদ এই দুই সামরিক শাসকের সহায়তায় জামায়াতে ইসলামী বেশ ভালভাবেই এ দেশে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। পরবর্তীতে বেগম জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় তারা মন্ত্রী হওয়ারও সুযোগ পায়। সামরিক শাসকদের বিদায়ের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াত সারাদেশে প্রায় ১২% ভোট পায়। তারপর থেকেই শুরু হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে আন্দোলন। তখন থেকেই দেশের তরুণ প্রজন্ম জামায়াতের অপকর্ম সম্পর্কে বিস্তৃত পরিসরে জানতে শুরু করে। ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর সঙ্গে তারাও যেভাবে এদেশে গণহত্যা আর নারী নির্যাতন চালিয়েছিল তা জানার পর থেকেই এ দলটির প্রতি মানুষের ঘৃণা বাড়তে থাকে। এ কারণেই ১৯৯৬ সালে তারা ভোট পায় প্রায় ৮%। তার পর থেকেই এ দলটির জনসমর্থন কমতে থাকে। ২০০১ ও ২০০৮ সালে তারা ভোট পায় প্রায় ৪%। বর্তমানে এই হার কমে প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। বর্তমানে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে নিজেদের পরিচয় দিতেও লজ্জা পায়। এমনকি দেশের মানুষ এখন জেনেশুনে কেউ জামায়াত পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তাও করতে চায় না। বিপ্লব ফরিদপুর।
×