ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানে প্রগতিশীলদের সামনে অন্ধকার

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

পাকিস্তানে প্রগতিশীলদের সামনে অন্ধকার

পাকিস্তানের প্রখ্যাত এক মানবাধিকার কর্মীকে হত্যার পর দেশটির প্রগতিশীলদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, ধর্মীয় উগ্রপন্থী ও রাষ্ট্রের নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের হুমকি দেয়ার ঘটনা বেড়েছে। দেশটিতে প্রগতিশীলদের ভবিষ্যতই অন্ধকার। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশে শুক্রবার নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণ শেষে বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে সাবিন মাহমুদ নামের ওই কর্মীকে হত্যা করে। করাচিতে ‘দ্য সেকেন্ড ফ্লোর’ নামের একটি মুক্তমঞ্চ পরিচালক ছিলেন সাবিন। মূলত বেলুচিস্তানে মানবাধিকারের অপব্যবহার এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে আলোচনা হতো এ মঞ্চে। গত কয়েক বছরে বেলুচিস্তানের বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষকে অপহরণ করা হয় এবং অপহরণের বহু দিন পর তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সাবিন এবং তারই চিন্তাধারায় বিশ্বাসী এমন কয়েকজনের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এসব অপহরণের মূলে। আর এ নিয়েই সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন সাবিন এবং আর এক মানবাধিকার কর্মী মামা কাদির। যে আলোচনা সভা থেকে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন সাবিন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাদিরও। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চাপে বেলুচিস্তানের নিখোঁজ লোকদের নিয়ে মামা কাদিরের একটি আলোচনা সভা কয়েক সপ্তাহ আগেই বাতিল করে দিয়েছে লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জামিল আহমেদ রবিবার বলেছেন, সাবিনের যেহেতু ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা ছিল না, তাই তার বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতার কারণে তার দুর্বৃত্তদের লক্ষ্যে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তিনি অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে কয়েকটি হুমকি পেয়েছিলেন। তারাই কি এই হামলা করেছিল কিনা সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে বেশিরভাগ বিশ্লেষক বলেছেন, সাবিনের খুনীদের বিচারের আওতায় আনার সুযোগ সামান্যই। গত বছর লাহোরে বন্দুক হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান টিভি উপস্থাপক রাজা রুমি। অপর উপস্থাপক হামিদ মির বেলুচিস্তান নিয়ে একটি টিভি অনুষ্ঠান করার পরই করাচিতে তার পেটে গুলি করে বন্দুকধারীরা। তিনি বেঁচে যান। উভয় ক্ষেত্রেই কোন অপরাধীকেই বিচারের আওতায় আনা হয়নি। -এএফপি
×