ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পেট্রোলবোমায় দগ্ধ রণজিতও মারা গেল

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৭ মার্চ ২০১৫

পেট্রোলবোমায় দগ্ধ রণজিতও মারা গেল

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের ছোড়া পেট্রোলবোমায় দগ্ধ রণজিত নাথ মারা গেছেন। বুধবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে অটোরিক্সাযোগে যাওয়ার সময় পেট্রোলবোমা হামলার শিকার হন তিনি। পরে তাঁকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মারা যান ৩০ বছর বয়সী রণজিত। একই ঘটনায় দগ্ধ অটোচালক চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ ১৬ জামায়াত-বিএনপিকর্মী আটক হয়েছে। অপরদিকে দেশজুড়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের চলা অবরোধে নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মোট ৩৮ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটককৃতরা সবাই জামায়াত-শিবির ও বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আটককৃতদের মধ্যে চট্টগ্রামে ১৩ জন, সিরাজগঞ্জ ও দামুড়হুদায় ৪ জন করে ও জয়পুরহাটে রয়েছে একজন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার চালানো অভিযানে এদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এক যাত্রীবাহী বাসে ককটেল নিক্ষেপ করে জামায়াত-বিএনপি কর্মীরা। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় বুধবার রাতে জামায়াত-বিএনপি কর্মীদের ছোড়া পেট্রোলবোমায় দগ্ধ রণজিত নাথ (৩০) দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বৃহস্পতিবার রাতে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে প্রাণ হারান। এ ঘটনায় ছাবের হোসেন নামে সিএসজিচালক আশঙ্কাজনক অবস্থায় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত রণজিত নাথ হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর কালীবাড়ির জনৈক যতিন্দ্র নাথের পুত্র। সংঘটিত এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় বিএনপি নেতা এবং মির্জাপুর ইউনিয়নের মেম্বার ইয়াকুবসহ ৪ বিএনপি নেতা ও ১৩ জামায়াত-শিবিরকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী অভিযানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার নাইমুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলার মীরসরাই, সীতাকু-, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এ ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৫ জন বিএনপির, ৬ জন ছাত্রশিবিরের ও ২ জন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
×