ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সৌদি রাষ্ট্রদূত আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল: মেঘনা আলম

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৯ জুলাই ২০২৫

সৌদি রাষ্ট্রদূত আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল: মেঘনা আলম

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা, অপমান ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন লেখিকা ও সাংবাদিক মেঘনা আলম। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে তিনি কাঁদতে কাঁদতে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “ঈসা আমাকে প্রেমে ফেলেছিল। আমাকে সে বিয়ে করার কথা বলেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে সে আমাকে অপমান করে এবং দূরে সরিয়ে দেয়।”

মেঘনার অভিযোগ, সৌদি রাষ্ট্রদূত তাকে গৃহকর্মীর প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং তাকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিলেন। তিনি বলেন, “আমাকে একটা সময় বলা হয়েছিল, সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানো হবে। একজন লেখিকা, একজন সাংবাদিক হিসেবে এটি আমার জন্য অপমানজনক ছিল।”

তিনি আরও জানান, “আমি চাইলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চিঠি দিতে পারি, কিন্তু আমি রাষ্ট্রকে হেয় করতে চাইনি।” আদালতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আজ আমি আদালতে এসেছি প্রতিকার চাইতে, আমি কোনো অপরাধ করিনি। ড্রাগ কেসে ফাঁসাতে চেয়েছিল। আমি ফেসবুক লাইভে না গেলে কেউ আমার কথা বিশ্বাস করত না।”

মেঘনা আলম আরও বলেন, “আমি একা একা যুদ্ধ করছি। রাষ্ট্র যদি আজকে একজন নারীকে রক্ষা করতে না পারে, তাহলে বাংলাদেশি নারীদের ভাবমূর্তি কীভাবে রক্ষা পাবে?” তিনি অভিযোগ করেন, কেউ তার দায়ের করা অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে না। “আমার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে। এমনকি সৌদি বাদশার পাঠানো খেজুর উপহারের ছবিও আমার কাছে আছে। আমি চাই, তদন্ত হোক, এবং সত্য বেরিয়ে আসুক।”

আদালতে মেঘনা আলমের পরনে ছিল ফিলিস্তিনি স্কার্ফ। তিনি বলেন, “আমি জানি এই লড়াই সহজ নয়, কিন্তু আমি দেশের সম্মান রক্ষার জন্য লড়ছি। আমি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। আমি একজন প্রতারিত নারীর ন্যায়বিচার চাই।”

Jahan

×