
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও বর্তমানে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চলছে, যা এলাকার স্বাস্থ্য সেবায় বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে। হাসপাতালের বেড সংকট এবং চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একই পরিবারের চারজনসহ মোট ২০ জন ডায়রিয়া রোগী বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোগীদের চাপ এতটাই বেশি যে, বেড সংকটের কারণে অনেককে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৩ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। ২২টি চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় জনবল সংকটে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের সেবা দিতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোর থেকে প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ শতাধিক রোগী টিকিট কেটে স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, ২৫ জন চিকিৎসকের শূন্যপদ পূরণ হলে মাদারগঞ্জের স্বাস্থ্য সেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে।
মিরাজ খান