ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারে নেই পিবিআইয়ের অগ্রগতি, রাস্তায় বাবার আহাজারি

মনোয়ার হোসেন লিটন, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ২৯ জুলাই ২০২৫

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারে নেই পিবিআইয়ের অগ্রগতি, রাস্তায় বাবার আহাজারি

ছবি: জনকণ্ঠ

ছেলে হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুরে মামলাটি তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও এজাহারভুক্ত আসামিদের কেউই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন পিতা আব্দুল জলিল। ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে তিনি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তবে পিবিআই জানিয়েছে, তারা গ্রেপ্তারে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণ ও নিহতের পরিবার। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে চিলমারী হরিপুর সড়কে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান চলাচল বন্ধ করে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নিহত জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল বলেন, “ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছি, পত্রপত্রিকায় সংবাদ দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি। আপনাদের কাছে একটাই দাবি—এজাহারভুক্ত একটি আসামিকে গ্রেপ্তার করুন। আজ নয় মাস হলো পিবিআইতে মামলা দিয়েছি। আমি বলেছি, শুধু একজন আসামিকে ধরেন, সাত দিন লাগবে না, তিন ঘণ্টার মধ্যে বের হয়ে আসবে কারা এবং কেন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি আবারও বিনয়ের সঙ্গে বলছি—দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনুন।”

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “এতদিনেও মামলার একটি আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি! কয়েকদিন আগেও আমরা একই দাবিতে মানববন্ধন করেছি, আজ আবারও করছি। জোবায়েরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, এরপর আসামিরা মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে আন্দোলনের পরিসর আরও বাড়ানো হবে।”

পিবিআই রংপুরের পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েম জানান, “মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা এখনও পোস্টমর্টেমের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাইনি, হয়তো শিগগির পাবো। আসামিরা এলাকায় নেই, কিন্তু আমরা গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর কলেজছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের বিকৃত লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরিবার থেকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদ (২১) এবং আরও ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

মুমু ২

×