
আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন পদ্মাপাড়ের শহর রাজশাহীর গর্ব রাবেয়া বসরী ফারিয়া। মাত্র ২১ বছর বয়সে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপ রাষ্ট্র মাদাগাস্কারে অনুষ্ঠিত গার্ল গাইডস অ্যান্ড গার্ল স্কাউটস অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মসূচি ‘ইয়েস গার্লস মুভমেন্ট’-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।
বাংলাদেশ গার্লস গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশগ্রহণকারী ফারিয়া কেবল নিজের নয়, বরং পুরো দেশের এবং রাজশাহীর ভাবমূর্তিকেই উজ্জ্বল করছেন আন্তর্জাতিক পরিসরে। বর্তমানে তিনি উগান্ডায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে মাদাগাস্কারে কর্মরত আছেন।
রাজশাহী নগরীর রাণীনগর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এজাজুল হক বাবলুর কন্যা ফারিয়া রাজশাহী সরকারি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। এসএসসি সম্পন্ন করেছেন শহরের খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে।
২০১১ সাল থেকেই তিনি বাংলাদেশ গার্লস গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত। ২০২৪ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারিতে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামেও তিনি অংশ নেন।
‘ইয়েস গার্লস মুভমেন্ট’ হলো এশিয়া ও আফ্রিকার ১১টি দেশের তরুণ গার্ল গাইডদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। নরওয়েজিয়ান এজেন্সি ফর এক্সচেঞ্জ কো-অপারেশন (NOREC) অর্থায়নে পরিচালিত এই কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণীরা বিভিন্ন দেশের গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশনে কাজ করার মাধ্যমে নেতৃত্বের দক্ষতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ পান। বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।
মাদাগাস্কার থেকে মোবাইল ফোনে ফারিয়া বলেন, “বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত। এখানকার সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রা দেখে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার এই পথচলায় সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার পরিবার, রাজশাহী অঞ্চলের গার্ল গাইড শিক্ষক ও সহপাঠী বোনেরা। দেশে ফিরে আমি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি সমাজ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।”
নুসরাত