খুলনার ফুলবাড়িগেট বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, “নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে কখনোই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। হাসিনাকে যেমন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিদায় করেছি, এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একইভাবে রাজপথে নামার।”
তিনি বলেন, ১৬ বছরের আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু তার রেখে যাওয়া সন্ত্রাসীরা এখন প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) তেলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার সরকারের ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসী ও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে খুলনার খানজাহান আলী থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বকুল বলেন, “একজন হিন্দু শিক্ষককে গুলি করা হয়েছে, অথচ পুলিশ আগে থেকেই জিডি থাকার পরও নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দীপক কুমার সরকার হয়তো ভেবেছেন তিনি হিন্দু বলে কেউ পাশে দাঁড়াবে না। কিন্তু বিএনপি কোনো ধর্মীয় বিভাজনে বিশ্বাস করে না। আমরা সবাই বাংলাদেশি এই রাষ্ট্রে কোনো সংখ্যালঘু নেই, এ দেশ সবার।”
তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন যদি জনগণের পক্ষে না থাকে, তবে রাজপথেই ফয়সালা হবে। খুলনায় গত কয়েক মাসে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটলেও পুলিশ কোনো বিচার করতে পারেনি। তাহলে প্রশ্ন জাগে প্রশাসন কার হয়ে কাজ করছে? জনগণের, না সন্ত্রাসীদের?”
বকুল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সন্ত্রাসীদের উল্লাসমঞ্চ খুলনায় হতে দেওয়া হবে না। মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী কিংবা চাঁদাবাজ—কেউই রেহাই পাবে না। প্রয়োজনে আমরা আবারো রাজপথে নামবো। প্রশাসন রক্তচক্ষু দেখালে ভয় পাব না। বিএনপির কেউ অপরাধে জড়ালে দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, রেহানা ঈসা, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মুর্শিদ কামাল, এড. মোহাম্মদ আলী বাবু, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন, মোল্লা সোহাগ, মতলুবুর রহমান মিতুল, জাকির ইকবাল বাপ্পি, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস প্রমুখ।
মিমিয়া
