ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নদীর তীরে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা 

এম হেলাল উদ্দিন নিরব, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ১২ জুন ২০২৫

নদীর তীরে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা 

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে মুগ্ধ ভ্রমণকারীরা। স্বাভাবিক ভাবে এ সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী সাঙ্গু নদীর তীরে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা অপরিসীম। পাহাড়ি নদী সাঙ্গুর বৈচিত্র্যময় পরিবেশ আর সৌন্দর্যের মনোমুগ্ধকর অঞ্চলটি ভ্রমণপিপাসুদের নজর কেড়েছে। 

বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশের ওপর উন্নয়ন অনেকখানি নির্ভর করছে। দেশের মধ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে হবে কর্মসংস্থান ও দুরীকরণ কমবে বেকারত্বের। দারিদ্র্য দুর্দশা বিমোচনে সফল হবে দেশ। বিভিন্ন দেশের প্রাচীন যুগের ইতিহাস ও শিল্প, সাহিত্য, কালচার প্রথার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঐতিহাসিক স্থান দেখার জন্যও ভ্রমণপিপাসুরা নিজ দেশের সীমানা পেরিয়ে দূর-দূরান্ত ছুটে চলেছে নিত্যদিন। 

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে সাঙ্গু নদীর অপরুপ সৌন্দর্য চোখে পড়ে। যাত্রাপথে কখনো চোখে পড়েছে নদীর সৌন্দর্য, মুগ্ধ করছে টিলা পাহাড় এলাকার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য। বহুদূর যেতে যেতে কখনো দুই ধারে সবুজ ধানক্ষেতের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য।

সাঙ্গু নদীর ইতিহাস ও ভূমিকা পার্বত্য অঞ্চলের জীবনযাত্রার, কৃষি কাজ এবং নৌপরিবহন ব্যবস্থার সাথে গভীর ভাবে জড়িত। এ নদীর পানি কৃষির জন্য ব্যবহৃত হয়।এবং স্থানীয় জনসাধারণ মানুষ জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 
এছাড়াও নদীর তীরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত, যা পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষনীয় 
স্থান হিসেবে পরিচিত।

সাঙ্গু নদীর আশপাশে রয়েছে অনন্য জীববৈচিত্র্য প্রাকৃতিক। নদীর জলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যে মন- মাগুর, রুই, কাতলা এবং আরো নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। নদীর তীরে অপরুপ ঘন সবুজ অরণ্য ও পাহাড়ি ভূমি স্থানীয় প্রাণীদের জন্য আর্দশ বাসস্থানের সৃষ্টি করেছে। এখানে দেখা যায় চিতাবাঘ, বনমোরগ, বানর, হরিণ প্রভৃতি প্রাণী। নদীর তীরবর্তী পাহাড়ি বনাঞ্চলও স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের সরল-সৌন্দর্যে আবহমানকাল থেকেই অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাঙ্গু নদী বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নদীর সৌন্দর্য দেখতে প্রতিবছর অসংখ্য ভ্রমণপিপাসুরা এখানে ভীড় জমান।

আঁখি

×