
ছবি: জনকণ্ঠ
একটি ইটসলিং রাস্তার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করেই প্রথম কিস্তির বিল উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এবং এক ইউপি সদস্যের যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে এ বিল উত্তোলন করা হয়েছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের সিরাজ সরদারের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তা থেকে লাল মিয়ার বাড়ি হয়ে মৃধা বাড়ির জামে মসজিদগামী রাস্তা ইটসলিংয়ের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্পের অনুকূলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুই লাখ দুইশ’ একুশ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমানকে প্রকল্পের সভাপতি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কমিটি দাখিল করা হয়।
ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, পরিষদ থেকে আমাকে সভাপতি করে প্রকল্পের কমিটি দাখিল করা হলেও রাস্তার ইটসলিংয়ের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা, বিষয়টি আমার জানা নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানকে সভাপতি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কমিটি জমা দেওয়া হয়। সেই কমিটিতে আমি স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোলায়মান মৃধার যোগসাজশে কাজ না করেই অন্য একটি কমিটির মাধ্যমে প্রথম কিস্তির বিল উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, সেই কমিটির বাইরে আমার স্বাক্ষর ব্যতীত ভিন্ন একটি কমিটির অনুকূলে প্রকল্প কর্মকর্তা কিভাবে অর্থ ছাড় করেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত করে জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য সোলায়মান মৃধার ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও নম্বর দুটি বন্ধ থাকায় কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রকল্পের সভাপতির নামেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময়ে সিলেটের জৈন্তাপুর ও পিরোজপুরে কর্মরত ছিলেন। সেখানেও আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে গৃহহীনদের ঘর উত্তোলনে অনিয়মসহ নিজেকে বিশাল আওয়ামী পরিবারের লোক দাবি করে ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।
মুমু ২