ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফল রপ্তানিতে আয়, মাদক আমদানিতে ব্যয়

হীরা আহমেদ জাকির, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ৩০ মে ২০২৫

ফল রপ্তানিতে আয়, মাদক আমদানিতে ব্যয়

ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা বিজয়নগরে প্রতিবছর আম, জাম, কাঠাল, লিচু, কলা, কমলা, আখ, কুল, আনারসের বাম্পার ফলন হয়। এছাড়াও কৃষিনির্ভর এই উপজেলায় দানাদার ফলনেরও ভালো ফল হয়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর এখান থেকে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি আয় হয়।

অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে মাদক এবং চোরাচালানের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটি যেনো “দুধ বিক্রি করে মদ কেনা”-র মতোই এক অবস্থা।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা, মাদক চোরাচালান দমন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, ডিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় টাস্কফোর্স পরিচালনা করলেও তেমন কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।

বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পথে মাদক ঢুকছে বিজয়নগরে। ঐতিহ্যবাহী এই অর্থনৈতিক উপজেলাকে অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলছে একটি সংঘবদ্ধ মহল। মাদক ব্যবসায়ীরা সীমান্তবর্তী এই উপজেলাকে ব্যবহার করে রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল দেশে প্রবেশ করাচ্ছে।

মাদকের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইন, গাঁজা, চোলাই মদ, দেশি মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, স্কফ সিরাপসহ প্রায় ২০ রকমের মাদকদ্রব্য। এছাড়াও চোরাচালানের তালিকায় রয়েছে উন্নতমানের কসমেটিকস, ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিস, চিনি, জিরা, মোবাইল ফোন, ডিসপ্লে, গরু, মহিষ, দুম্বা, ছাগলসহ শত শত অবৈধ পণ্য।

মাদকাসক্তি বৃদ্ধির ফলে দেশে মাদকদ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা এবং মাদকের চোরাচালান বেড়েই চলেছে। প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে।
 

মারিয়া

×