
ছবিঃ সংগৃহীত
চট্টগ্রামের রাউজানে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। কথায় কথায় হামলা করে সাধারণ মানুষের উপর। এ যেন মগের মুল্লুক। দিন দিন তাদের অপকর্ম বেড়েই চলেছে। তাদের এই অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ চায় স্থানীয়রা।
কিশোর গ্যাংয়ের দুই দফা হামলায় গুরুতর আহত হন তরুণ রিমনের (২১)। এ ঘটনায় গেল ২৫ মে (রোববার) তার বড় বোন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রী রুশমি আক্তার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন রাউজান থানায়।
ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শুধু দুই দফা মারধর করেই ক্ষ্যন্ত হয়নি। আহত তরুণ রিমনকে একেরপর এক প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন (রেকর্ড সংরক্ষিত)। ফলে দুশ্চিন্তায় দিনপাড় করছেন বাবা-মা হারা এতিম তরুণ রিমন।
রাউজান থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ আব্দুল্লাহ রিমনের সাথে রাউজান থানার ১০ নং পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন অলিমিয়া হাট এলাকার বাসিন্দা মীম ফাতেমা ইমু (১৬)-এর প্রেমের সম্পর্ক থাকায় চলতি বছরের মার্চ মাসের ৩ তারিখ সকাল বেলা অলিমিয়া হাটের স্কুলের রাস্তায় সাক্ষাৎ হয় দু-জনের, সঙ্গে তার বান্ধবীও ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে মীম ফাতেমা ইমু তার বান্ধবীসহ বাড়ীতে চলে যায়। ওই সময় আগে থেকে ঔত পেতে থাকা কিশোর গ্যাংয়ের ৬-৭ জন সদস্য রিমনকে অলিমিয়া হাটের রাস্তা থেকে ধরে স্কুল ও মাদ্রাসার মাঠে নিয়ে যায়।
পরে তাকে অলিমিয়া হাট মাদ্রাসার ভেতরের একটি খালি কক্ষে নিয়ে মারধর করে। তার কাছ থেকে ২৫,০০০/- টাকা দাবি করে ও ব্যক্তিগত মোবাইলটি ছিনিয়ে নেই ।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদ্রাসার একটি খালি কক্ষে নিয়ে রিমনকে এলোপাতাড়ি মেরে মাথায় আঘাত করে। পরবর্তীতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রিমনের বোন রুশমি আক্তারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলে।
রুশমি ঘটনাস্থলে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও তাদের সহযোগীরা রুশমি আক্তারের সাথেও খারাপ আচরণ করে।
একপর্যায়ে কিশোর গ্যাং সদস্যরা রিমন ও রুশমি আক্তারের কাছ থেকে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। পরে রুশমি আক্তারের কাছ থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেন।
পরে রিমনকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নেওয়া হয়। এত কিছুর পরও কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিলে রিমনের ও তার পরিবারের উপর হামলা করবে বলে হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।
রাউজান থানায় করা অভিযোগপত্রে জানা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া সদস্যরা হলেন- কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে থাকা প্রথম আসামি অলিমিয়া হাটের ইমাম তালুকদার বাড়ির হায়দার আলীর ছেলে মো:মারুফ, দ্বিতীয় বাচা মিয়ার ছেলে মো: ফাহিম, তৃতীয় আনোয়ার সিকদারের নতুন বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে মো:রাকিবুল ইসলাম, চতুর্থ আজগর আলী সিকদার বাড়ির জানে আলমের ছেলে মো:তারেক (ফোনে হত্যা ও হুমকি দাতার রেকর্ড সংরক্ষিত), পঞ্চম আসামি আউলাপিতার বাড়ির মৃত শাহ পরানের ছেলে মো: সায়েক এবং কিশোর গ্যাং পরিচালনাকারী প্রধানের নাম মো: রাশেদ ডাক নাম (জাসসো)।
এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলীম