
ছবি: জনকণ্ঠ
যৌতুকের জন্য এক গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী মুছা মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রীকে তালাকসহ হত্যার হুমকি দেয়া স্বামী। এ ঘটনায় যৌতুকলোভী স্বামীর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাদিরিন আক্তার একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, দড়িনবীপুর গ্রামের মো. ইমান আলীর কন্যা সাদিরিন আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের কালাই গোবিন্দপুর গ্রামের মো: নজরুল ইসলামের পুত্র মো. মুছা মিয়ার সাথে ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর ৪০ হাজার টাকা দেন মোহরানায় ইসলামী শরিয়তমতের বিধান মোতাবেক রেজিঃকৃত কাবিনমূলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সাদিরিন আক্তারের পিতা মো. ইমান আলী মেয়ের সুখের জন্য তার জমানো প্রায় ৩ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র প্রদান করেন। এছাড়াও মুছা মিয়া বিদেশ যাওয়ার জন্য তার শ্বশুর ইমান আলীর নিকট থেকে আরো ২ লাখ টাকা ধার নেয়। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। এরপর থেকে সাদিরিন আক্তারের শ্বশুর মো: নজরুল ইসলাম ও শাশুরী আয়েশা বেগমের কু-পরামর্শে মুছা মিয়া তার স্ত্রীর নিকট ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। সাদিরিন আক্তারের পিতার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে তার উপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। গত ২৯ এপ্রিল পুনরায় সাদিরিন আক্তারের নিকট ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। সাদিরিন এতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করে তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। পরে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মিমাংসা করতে ব্যর্থ হলে তাদের পরামর্শে গত ১৭ মে সাদিরিন আক্তার বাদী হয়ে স্বামী মুছা মিয়াসহ তিনজনকে আসামী করে নরসিংদী সদর সি.আর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা করার পর স্বামী ও তার লোকজন মামলাটি উঠিয়ে নেয়ার জন্য সাদিরিনর উপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে এবং ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে সাদিরিন আক্তার তাদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের আশু দৃষ্টি কামনা করছেন।
শিহাব