ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঠাকুরগাঁও সদরের শিশুদের চোখে বাংলা বইয়ের রঙিন জগৎ

আব্দুন নুর আজাদ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ২৮ মে ২০২৫

ঠাকুরগাঁও সদরের শিশুদের চোখে বাংলা বইয়ের রঙিন জগৎ

ছবিঃ জনকণ্ঠ

সকালে স্কুলের ঘন্টা বাজতেই যেন প্রাণ ফিরে পায় ঠাকুরগাঁও সদরের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বই হাতে ছোট ছোট বাচ্চাদের হাসিমুখে ছুটে চলা—এই দৃশ্য যেন বলে দেয়, “বই পড়তে সত্যিই অনেক মজা!”

ঠাকুরগাঁও সদরের সালন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রাইশা জানায়, “আমার প্রিয় বই বাংলা বই। এতে অনেক সুন্দর গল্প আর কবিতা আছে। আমি সবচেয়ে ভালোবাসি ‘রুপার স্বপ্ন’। রুপা যেমন স্বপ্ন দেখে, আমিও তেমনি স্বপ্ন দেখি ডাক্তার হবো।”

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বই শুধু লেখাপড়ার বিষয় নয়, বরং শিশুদের কল্পনা ও মনের খোরাক। এখানে আছে—

‘নদী বাঁচাও’ পাঠ, যেখানে শিশুরা শেখে পরিবেশ রক্ষা করতে,

‘আমাদের গ্রাম’, যেখানে গ্রামের সৌন্দর্য ও একতা তুলে ধরা হয়,

‘আমার প্রিয় পাখি’, যা শিশুদের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগায়।

ঠাকুরগাঁও সদরের একজন শিক্ষক, মো. আজহারুল ইসলাম, বলেন, “আগের সময়ের মতো এখন আর শিশুদের শুধু মুখস্থ করানো হয় না। বাংলা বইয়ের গল্পগুলো এমনভাবে সাজানো যে ওরা মজা করেই শিখছে। বিশেষ করে যারা গ্রামের শিশু, তারা নিজেদের জীবনকে এসব গল্পে খুঁজে পায়।”

শিশুদের মুখে হাসি আর চোখে স্বপ্ন—এই হচ্ছে বাংলা বইয়ের আসল সাফল্য। শুধু পড়া নয়, এই বই শেখায় কিভাবে মানুষ হতে হয়, প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হয়, আর পরিবার-সমাজকে গুরুত্ব দিতে হয়।


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এমন অনেক শিশু আছে, যারা বাংলা বইয়ের গল্প পড়ে জীবনের প্রথম শিক্ষা নিচ্ছে। বইয়ের পাতায় হারিয়ে গিয়ে ওরা খুঁজে নিচ্ছে নিজেদের স্বপ্নের পথ।


বাংলা বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন শিশুদের জন্য এক নতুন জানালা। ঠাকুরগাঁও সদরের শিশুদের চোখে এই বই কেবল একটি পাঠ্যবই নয়, বরং এক বন্ধুর মতো—যে শেখায়, হাসায়, ভাবায় আর স্বপ্ন দেখায়।

আলীম

×