
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ট্রাফিক পুলিশের নামে চলছে নগদে জরিমানা আদায়ের গোপন খেলা! চালকরা বলছেন, আটক করার পর কাগজের স্লিপ ধরিয়ে থানায় পাঠানো হয়, আর সেখানেই শুরু হয় ‘ডিল’।
“নগদ দেবেন, না ব্যাংকে?” প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে চালকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব জরিমানা জমা পড়ার কথা ছিল ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু নেই কোনো রশিদ, নেই কোনো অফিসিয়াল স্লিপ!
সিএনজি চালক জাবেদ মিয়া বলেন, গাড়ি আটক করার পর ট্রাফিক পুলিশ একটি কাগজ দেয়। ওই কাগজ নিয়ে থানায় গিয়ে বড় স্যারের কাছে স্লিপটা দিলে বলে মামলা দিয়েছি, ভিতরে যান। ভিতরের রুমে গেলে একজন কর্মকর্তা বলেন, জরিমানা হয়েছে, নগদ না ব্যাংকে দিবেন? নগদ বললেই সঙ্গে সঙ্গে টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে, কিন্তু কোনো ধরনের স্লিপ দেওয়া হচ্ছে না।
আরেক চালক বকুল ও পলাশের ভাষায়, “থানায় গেলেই ভিতরে নিয়ে বলে জরিমানা হয়েছে, নগদ দেন, গাড়ি নিয়ে যান। আমরা ভয়ে নগদ দিয়ে দেই।” সিএনজি মালিক সমিতির সেক্রেটারি শাহজাহান মিয়া জানালেন, “থানায় নগদ নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। শহরে সিএনজি জরুরি প্রয়োজনে প্রবেশ করতে পারে, কিন্তু স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী তোলা সম্পূর্ণ অনিয়ম।”
শুধু জরিমানা নয়, ট্রাফিক আইন ভেঙে ভারি যানবাহন শহরে ঢুকছে দিনের বেলাতেই। নিয়ম অনুযায়ী রাত ৯টার পর এসব গাড়ি প্রবেশ করতে পারলেও, অভিযোগ রয়েছে। ঘুষ দিয়েই দিনের আলোতে শহরে ঢুকছে তারা।
ফলে শহরের রাস্তা জ্যামে অচল, আর দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে সরকার হারাবে রাজস্ব, আর শহর হারাবে শৃঙ্খলা। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মীর আনোয়ারের সঙ্গে, কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সায়মা