
ছবি : জনকণ্ঠ
দলিল, দাখিলা ও দখল—এই তিনটি বিষয় ভূমির মালিকানা নিশ্চিত করে। ভূমির কর না দেওয়া মানে ঘরে তালা না দেওয়ার মতো। ভূমি-সংক্রান্ত প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে এ তিন ‘দ’-এর নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি. এম. রাশেদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা ভূমি অফিসের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভূমি মেলার উদ্দেশ্য হলো জনগণকে সচেতন করা। ভূমির কাগজপত্র বিষয়ে সচেতন থাকলে ভূমি-সংক্রান্ত বিরোধ এবং মামলা-মোকদ্দমা এড়ানো সম্ভব। দেশে ৮০ শতাংশের বেশি মামলা ভূমি-সংক্রান্ত। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে। ইউএনও ভূমি অফিসকে আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন বলেন, আখাউড়া উপজেলায় চলতি বছরে ৯৬ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। জনগণের সচেতনতা ও ভূমি অফিসের আন্তরিকতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর শতভাগ কর আদায় সম্ভব হবে।
ভূমি মেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপকারভোগী, গণমাধ্যমকর্মী ও স্কুল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। মেলা উপলক্ষে স্কুল পর্যায়ে আয়োজিত ভূমি-সংক্রান্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৬ শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া সদর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান, মনিয়ন্দ ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, তন্তর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আশুতোষ ভৌমিক এবং সার্টিফিকেট সহকারী আহাদ আলী।
সা/ই