
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের উপকূলীয় ইছাখালী ও মিঠানালা ইউনিয়নের সীমানায় রহমতাবাদ এলাকার খানাখন্দ আঞ্জুওয়াছিন সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন এলাকাবাসী। ওই সড়কে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শিয়াল খালের উপর থাকা একটি বাঁশের সাঁকো যেন চলাচলকারীদের জন্ম দুঃখ। ওই সাকোঁটির অবস্থান আঞ্জুওয়াছিন সড়কের সংযোগ সড়কের মুখে। যেটি পার হয়ে ইছাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী এলাকার লোকজন, পশ্চিম রহমতাবাদ ও পশ্চিম রহমতাবাদ এলাকার লোকজন পূর্ব ইছাখালী এলাকায় যাতায়াত করে।
এলাকাবাসীর মতে সড়ক দুইটি প্রতিদিন তিন ইউনিয়নের স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে দেড় থেকে দুই হাজার লোক ব্যবহার করে। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরলেও তাদের এলাকার সড়কে একটি ইট না বসানো এবং খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গা ইটগুলো দেয়াড় কারণে চলাচল করা গেলেও পুরো সড়ক এব্রো-থেব্রো অবস্থায় রয়েছে। অনেক জায়গায় গাড়ির চাকায় ইটগুলো আরো ভেঙ্গে লাল ধুলা উড়ছে। সড়কের দুরবস্থার কারণে স্থানীয় লোকজন রিক্সা, সিএনজি, অটোরিক্সা ব্যবহার না করে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছে। ওই সড়ক দিয়ে কোন অসুস্থ রোগীকে মহাসড়ক পর্যন্ত আনতে গেলে ওই রোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাবে।
রহমতাবাদ এলাকা আঞ্জুওয়াছিন সড়ক দিয়ে মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম রহমতাবাদ, ইছাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী ও কাটাছড়া ইউনিয়নের আংশিক এলাকার বাসিন্দারা চলাচল করে। পূর্ব ইছাখালীর লোকজন এ সড়কে আসতে হলে শিয়াল খালের উপর থাকা বাঁশের সাকোঁটি পার হয়ে আসতে হয়। ওই সাকোঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে দশ হাজার টাকা খরচ করে আবার সাঁকো তৈরি করে। বর্ষাকালে সাকোঁ পার হয়ে গিয়ে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়।
পশ্চিম রহমতাবাদ হামীউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন জানান, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছাড়াও এ সড়কটি দিয়ে বামন সুন্দর ফকির আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, বামন সুন্দর ফারুকিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মিরসরাই, বারইয়ারহাট ও নিজামপুর কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী চলাচল করে। একাধিকবার সড়কটি সংস্কার হবে শুনা গেলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। শুষ্ক মৌসুমে হয়ত কোন রকমে চলাচল করা যাচ্ছে কিন্তু বর্ষা শুরু হলে যাতায়াতের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।’
স্থানীয় মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি সড়কটি সংস্কার ও খালের উপর সেতু নির্মাণের আবেদন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিফলন দেখছেন না।
উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা জানান, র‘হমতাবাদ এলাকার আঞ্জুওয়াছিন সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ইতিমধ্যে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কটির কাজ করা হবে।’
মিরাজ খান