
ছবি: সংগৃহীত
ভারী নয়, তিন চাকার গাড়ি উঠলেই থরথর করে কাঁপছে সেতু। এই বুঝি গাড়িসহ ধসে পড়ল! ফাটল ধরেছে পিলারগুলোতেও। পুরাতন ঢালাই ভেঙে দেখা যাচ্ছে রড। কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। যদিও সেতুটি কয়েক বছর পূর্বে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সরু সেতুটি দ্রুত সংস্কার করে নতুন সেতু নির্মাণের। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কাদিরার গোজা থেকে করাতির হাট সড়কের বেড়ীর মাথা সংলগ্ন খালের ওপর সেতুটির অবস্থান। মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে বহু আগেই। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তবুও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে যানবাহন ও মানুষ। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। যাত্রী আর চালকরা সব সময় থাকছেন জীবনের শঙ্কায়।
স্থানীয় এমরান হোসেন বলেন, প্রায় ৩৬ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় জনবসতি কম থাকায় সেতুটিও সরু করে নির্মাণ করা হয়েছিল। চওড়া কম হওয়ায় সেতুতে বড় ধরনের ও একসঙ্গে দুটি যানবাহন চলাচল করতে পারে না। বর্তমানে সেতুটির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। আশপাশের গ্রাম ও চরাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ছোট ট্রলি, রিকশা-ভ্যানে করে হাটবাজারে নিতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ব্রিজ পার হচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে।
অটোরিকশাচালক আবদুল করিম বলেন, সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একটা রিকশা উঠলেই কেঁপে ওঠে। এক যুগের বেশি সময় ধরে এখানে নতুন সেতুর দাবি জানিয়ে এলেও কোনো সুফল মেলেনি। মনে হয়, সেতুটি ভেঙে না পড়লে নতুন ব্রিজ হবে না।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
আসিফ