ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উখিয়ায় ২ মাসে ৪৪৩১টি অভিযান, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার

এম ফেরদৌস, উখিয়া, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ২০ মে ২০২৫

উখিয়ায় ২ মাসে ৪৪৩১টি অভিযান, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিওনের অধিনস্ত উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) ৪৪৩১ টি অভিযান পরিচালনা করে ০৩ টি পিস্তল (ওয়ান শুটার গান), ৩৪টি এ্যামুনিশন, ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সীমান্তে বিভিন্ন চোরাই মালামাল নিয়ে ১২ জন কারবারিদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। নবসৃজিত উখিয়া (৬৪ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের টিম গত ২ মাসে তাদের এসব অন্যান্য সাফল্য। 

উখিয়ার সীমান্তে নিরাপত্তা ও মাদক চোরাচালানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত (১ মার্চ ২০২৫ইং) তারিখে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি)'র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন।

এই ৬৪-ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়কের দায়িত্ব পান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। কর্ম এরিয়া হিসাবে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উখিয়া কেন্দ্রিক তাদের তৎপরতা রয়েছে। এর মধ্যে বালুখালী বিওপি, পালংখালী বিওপি, হোয়াইক্যং বিওপি, উনচিপ্রাং বিওপি, ঝিমংখালী বিওপি,  খারাংখালী বিওপি ও হ্নীলা বিওপিসহ শীলখালী চেকপোস্ট ও ইমামের ডেইল চেকপোস্ট তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

উদ্বোধনের ২ মাসেরও কম সময়ে এই ব্যাটালিয়ানের অভিযানে মাদক, অস্ত্র, সীমান্তের চোরাকারবারিদের প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “৬৪-বিজিবির দায়িত্ব পালনে সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি মাদকদ্রব্য পাচার নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মানব পাচার ও অপহরণসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে প্রতিনিয়ত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে উখিয়া ৬৪-বিজিবি'র সদস্যরা।” 

তিনি আরো জানান, সীমান্ত পিলার বিআরএম-১১ হতে বিপি-৩০ পর্যন্ত মোট ৩১ কিলোমিটার এলাকার দায়িত্বরত রয়েছে যার সম্পূর্ণটাই মায়ানমারের সাথে। এই দায়িত্বপূর্ণ এলাকার জিরো লাইন পুরোটাই নাফ নদী বেষ্টিত এবং অনেকাংশেই ঘন জঙ্গল রয়েছে যেখানে প্রায়শই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড লেগেই থাকে। 

তাই এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে এখন। তারপরও উখিয়া ব্যাটালিয়নের (৬৪ বিজিবি) গোয়েন্দা নজরদারি ও ডমিনেশন টহলের মাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ এহেন অভিযানিক কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

মিরাজ খান

×