ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তাহিরপুর সীমান্তে পাহাড়ি ঢল

‘বাংলা কয়লা’ কুড়াতে শ্রমজীবী মানুষের হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ২০ মে ২০২৫; আপডেট: ১৩:৩১, ২০ মে ২০২৫

‘বাংলা কয়লা’ কুড়াতে শ্রমজীবী মানুষের হিড়িক

ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলের পানিতে বালির সঙ্গে মিশে আসা কয়লা কুড়াতে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষের হিড়িক পড়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে।

সোমবার ভোর রাত থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আর এই ঢলের পানি তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে নিচে নেমে আসে। সঙ্গে নিয়ে আসছে বালিমিশ্রিত কয়লা ও পাথর।

মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে তাহিরপুর সীমান্তের যাদুকাটা নদী, কলাগাঁও, বড়ছড়া ও চারাগাঁও ছড়া দিয়ে ভারতের ঢলের পানিতে ভেসে আসা এসব কয়লা আর পাথর কুড়াতে অসংখ্য শ্রমজীবী নারী-পুরুষকে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

ঢলের পানি থেকে শ্রমজীবী মানুষের কয়লা কুড়ানোর এসব দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে স্থানীয় কেউ কেউ তুলে ধরেছেন। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে কয়লা কুড়ানোর কাজে নারী-পুরুষের সঙ্গে শিশুরাও রয়েছে। এসব শ্রমিকরা কারো হাতে বেলচা, চালুনি আবার কেউ কেউ মাছ ধরার ছোট ছোট জাল, কোদাল নিয়ে নেমে পড়েছেন কয়লা কুড়াতে। 

জানা গেছে, উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে বালির সঙ্গে মিশে থাকা এসব কয়লা আর পাথর বেলচা, কোদাল ও জাল ব্যবহার করে সংগ্রহ করা হয়। পরে এসব কুড়ানো কয়লা বস্তায় করে ভরে শ্রমিকরা তাদের বাড়ি-ঘরে নিয়ে রাখেন। স্থানীয়রা একে 'বাংলা কয়লা' নামে ডাকে। পরে এসব 'বাংলা কয়লা' একশ্রেণির স্থানীয় ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের কাছ থেকে কিনে নেন। একজন শ্রমিক দিনভর ধরে কয়লা কুড়িয়ে ৪-৫ বস্তা কয়লা সংগ্রহ করতে পারেন। প্রতি বস্তা কয়লা বিক্রি করে ২৫০-৩০০ টাকা পেয়ে থাকেন।

উপজেলা সীমান্তের চারাগাঁও এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, এই সময়টাতে উজানের ঢলের পানিতে অনেক কয়লা ভেসে আসে নিচে। এসব কয়লা কুড়াতে নিম্নআয়ের অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে এসব কয়লা বস্তা করে নিজেদের বাড়ি-ঘরে নিয়ে রাখা হয়। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে, যখন এই কষ্টার্জিত কুড়ানো কয়লা বিক্রি করতে যান। তখন স্থানীয় প্রশাসনিক বাধার মুখে পড়তে হয় শ্রমিকদের।

মুমু

×