
ছবি: জনকণ্ঠ
খুলনার পাইকগাছায় বোম্বাই লতা জাতের আমে স্ক্যাব রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত আমের খোসা বাদামি ও ধূসর রঙ ধারণ করছে, দেখতে অনেকটা সফেদা ফলের মতো। রং ও চেহারায় আকর্ষণ হারানোয় এসব আমের বাজারমূল্য অন্যতম পর্যায়ে কমে গেছে। ফলে লোকসানে পড়েছেন আমচাষিরা।
এক সময় পাইকগাছার লতা আম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছিল ব্যাপক জনপ্রিয়। দেখতে বড়, গোল ও আকর্ষণীয় হওয়ায় এর চাহিদাও ছিল বেশি। তবে এবার আমের খোসায় বাদামি দাগ ও রুক্ষতা দেখা দেওয়ায় ভোক্তাদের আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে।
বাগান মালিক মোবারক ঢালী জানান, নিয়মিত সার ও ওষুধ প্রয়োগ করেও আমের রং ধূসর হয়ে গেছে। দাগযুক্ত আম ক্রেতারা কিনছেন না। খুব কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, এতে অর্থনৈতিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। অনেক বাগানে আম পাড়ার খরচও উঠছে না, ফলে গাছে আম নষ্ট হচ্ছে।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই রোগের নাম স্ক্যাব বা দাদ রোগ। এতে কচি অবস্থায় আম গুটি আক্রান্ত হয়ে ঝরে যায়। বড় হলে খোসা ফেটে গিয়ে ধূসর রঙ ধারণ করে এবং খোসা রুক্ষ ও দাগযুক্ত হয়ে যায়। এই অবস্থায় আমের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. একরামুল হোসেন জানান, গুটি অবস্থায় কার্বেন্ডাজিম বা ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ৩-৪ বার স্প্রে করলে স্ক্যাব রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ফল সংগ্রহ শেষে গাছের মৃত ও আক্রান্ত ডালপালা ছেটে দিয়ে পরিষ্কার করে ছত্রাক ও কীটনাশক স্প্রে করলে পরবর্তী মৌসুমে রোগমুক্ত ফলন পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় খুলনার পাইকগাছা অঞ্চলে লতা আম একটি সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এবারের রোগের কারণে আমের গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় বিক্রি কমে গেছে এবং চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
শহীদ