
ছবিঃ জনকণ্ঠ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুদের জন্য সরকার নির্ধারিত টিকা নেই। দুই মাস ধরে টিকার সংকট থাকায় শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডাক্তার বেলায়েত হোসেন এর অবহেলার কারণে বর্তমান হাসপাতালটি হযবরল অবস্থা। রোগীরা হাসপাতালে বাচ্চা নিয়ে আসলে টিকার সংকটে নির্ধারিত কক্ষে ঝুলছে তালা৷ জনবহুল এই উপজেলায় টিকা নিতে আসা মানুষ হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, টিকা না থাকায় শিশুদের মা ও স্বজনরা ফেরত যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন তলা ভবনের নিচতলায় টিকাদানের জন্য নির্ধারিত কক্ষটিতে তালা ঝুলছে। পাশের রুমটিতে দায়িত্বে থাকা দু'জন স্বাস্থ্যকর্মীকে তালা ঝুলানো থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে জানেন না বলে জানান ।
জানা যায়, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সের মধ্যে শিশুদের ১০টি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা এক নারীকে শিশুদের টিকা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন টিকা নেই টিকা আসলে আপনাদেরকে পরে জানানো হবে। এই ভাবে আমাদেরকে হয়রানি করবেন না ্হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয় চিন্তা না করলে আমাদের কি করার আছে।
মৌকারা ইউপির আলিয়ারা গ্রামের রোজাউল করিম রাজু টিকা সেবা প্রত্যাশী তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন আমি চার সপ্তাহ ধরে এই হাসপাতালে আমার বাচ্চাকে টিকা দিতে আসলাম , তারা বলেন টিকা নেই আপনারা জেনে ও আবার কেন আসেন । আবার অনেকে টাকা ও সময় ব্যয় করে বেশ কয়েকবার আসার পরেও শিশুদের টিকা দিতে না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন তারা।
পাটোয়ার গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন তানভীর শাহ বলেন, আমি ছেলেকে টিকা দিতে এসে সকালে দীর্ঘ অপেক্ষার পর টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখি তালা ঝুলছে৷ সময়মতো টিকা দিতে না পারলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংকটে পড়বে। আমার মতো অনেকেই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মো: নিজাম উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে এখন টিকা আছে , বর্তমানে টিকার সংকট নেই যা আছে তা দিয়ে একমাস চলবে। কিছু দিন আগে টিকা সংকট ছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার বেলায়েত হোসেনের হাসপাতালে গিয়ে না পেয়ে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাব্বির