
ছবিঃ সংগৃহীত
নেত্রকোনায় নিজ ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে এরশাদ (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত এরশাদের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর (মোড়লপাড়া) গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল জব্বার মুন্সির ছেলে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ঘটনার ১০ বছর আগে এরশাদ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সাততী গ্রামের আফরোজা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের বছরখানেক পর তাদের ঔরসে সাফায়েত হোসেন আরাফ নামে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই এরশাদ আফরোজার ওপর নির্যাতন শুরু করে। এরশাদ তার সন্তানেরও কোনো খোঁজখবর নিত না। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আফরোজা ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর স্বামীকে (এরশাদকে) তালাক দেন। এরপর স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ নিয়ে সদর উপজেলার কান্দুলিয়া গ্রামে তার মামা লিটন মিয়ার বাড়িতে সন্তানসহ বসবাস করতে শুরু করেন। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি আফরোজা তার শিশুপুত্র আরাফকে মায়ের বাড়িতে রেখে প্রতিদিনের মতো পোশাক কারখানার কাজে চলে যান। বেলা ১১টার দিকে এরশাদ আফরোজার মা’র বাড়ির ঘরে ঢোকে আরাফকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। পরে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে এরশাদকে আটক ও আরাফের লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে আফরোজা বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যে ঘটনাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার আদালত এরশাদকে তার উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম।
সাব্বির